মেয়েকে কুপিয়ে জখম করলেন বাবা!
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ০০:০১
মেয়েকে কুপিয়ে জখম করলেন বাবা!
বাউফল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

উপমা ইসলাম রূপা (২৪) নামের এক  তরুণীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছেন তার বাবা! আহত উপমাকে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


শুক্রবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাতে দাশপাড়া ইউনিনের চৌমুহনী এলাকার বিশ্বাস বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।


এ ঘটনায় আজ শনিবার (১১ মার্চ) বাবা খালেক ও ফুফু মিলির বিরুদ্ধে বাউফল থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।


সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিযুক্ত বাবা আবদুল খালেক ওরফে আরডিএস খালেক দুই বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। রুপা খালেকের প্রথম স্ত্রীর সন্তান। সম্প্রতি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর পর রুপা ও তার ভাই সোহাগ তাদের মাকে বাড়িতে নিয়ে আসলে ক্ষিপ্ত হন খালেক। সেই থেকেই বাবার শত্রু হয়ে যান প্রথম স্ত্রীর মেয়ে রুপা ও ছেলে সোহাগ।


এর আগে মেয়ে এ রুপা ও ছেলে সোহাগের ওপরে হামলা চালায় খালেক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান সিয়াম ও তাদের বাহিনী।


ঘটনার দিন শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে বাবা আবদুল খালেক ও তার বোন মিলি রুপাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় রুপার মা হাওয়া বেগম মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করা হয়।


উপমা ইসলাম রুপা বলেন, আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমার ওপরে হামলা করে আমার বাবা আবদুল খালেক ও ফুফু মিলি। আমার বাবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় আঘাতের চেষ্টা করেন। তখন আমি হাত দিয়ে নিজেকে রক্ষা করি। এতে আমার হাত গুরুতর জখম হয়। এর আগে আমার বাবা আমাকে ও আমার ভাইকে পিটিয়ে জখম করেছিলেন সেই সময় আমি বাউফল থানায় অভিযোগ করেছিলাম, কোনো আইনি সহায়তা পাইনি।


দাশপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মামুন বলেন, রুপা আমাকে মোবাইলে কল করে ঘটনাটি জানায় তার বাবা তাকে মেরেছে এবং ভয়ে কেউ তাকে হাসপাতালে নিতে চাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি পুলিশ সেখানে পৌঁছেছে। আমি রুপা ও তার মাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি।


তবে অভিযোগের বিষয়ে তার বাবা খালেক ওরফে আরডিএস খালেক মিয়া বলেন, আমি আমার প্রথম স্ত্রীকে অনেক আগেই তালাক দিয়েছি। তাই আমি তাকে এখন আমার বাড়িতে কীভাবে রাখব। কিন্তু আমার প্রথম পক্ষের ছেলেমেয়ে তাদের মাকে বাড়িতে এনেছে। আমি এর বিরোধিতা করায় তারা আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ চাপাচ্ছে। আমি কারও ওপর হামলা করিনি।


বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুর রউফ বলেন, তার হাতের কাটা স্থানে তিনটি সেলাই লেগেছে।


এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. আল মামুন বলেন, উপমাকে অভিযোগ জমা দিতে বলেছি। এবিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


বিবার্তা/হান্নান/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com