ডি-নথির যুগে প্রবেশ করলো খুবি
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:২১
ডি-নথির যুগে প্রবেশ করলো খুবি
খুলনা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) যুগে প্রবেশ করলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।


রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ডি-নথি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উদ্যোগে প্রথম ধাপে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রমের পৃথকভাবে উদ্বোধন করেন।


খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এসময় নিজ আইডি লগইন করে একটি পত্র জারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ডি-নথি কার্যক্রমের সূচনা করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুম থেকে এসময় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, সকল বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ।


ডি-নথির এ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইলের কাজ ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্পাদিত হবে এবং উপাচার্যসহ সকল পর্যায়ের অনুমোদনকারীবৃন্দ যে কোনো স্থানে, যে কেনো সময় বসে পেপারলেসভাবে ফাইল অনুমোদন দিতে পারবেন। এর ফলে সময় ও কাগজের সাশ্রয় হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাটিও নিশ্চিত হবে। এছাড়া প্রশাসন ও একাডেমিক ক্ষেত্রে গতিশীলতা বাড়বে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি কার্যক্রমের আওতায় আসবে।


এ উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অভিলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে যে দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে। তা তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা রাখবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আজকের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির প্রথম সারির হাতিয়ার।


তিনি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথা তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন তাঁর হাত ধরেই এসেছিলো। এখন উন্নত বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির রূপকল্প তাঁরই চিন্তাপ্রসূত। ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করা এবং সবার ব্যাংক একাউন্ট থাকা, ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরি করা, সরকারি-বেসরকারি সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল পরিসেবার মাধ্যমে কাজ সহজসাধ্য করা ও সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া, মাথাপিছু আয় ১২৫০০ ডলারে উন্নীত করার অভিলক্ষ্য অর্জন করতে হবে। এজন্য সরকার নলেজবেজড ইকোনোমিতে যেতে চায়। এর মূল উদ্দেশ্য জনগণের জীবনমান উন্নত করা। স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিতে কর্মসংস্থান বহুগণে বাড়বে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টার (আরআইসি) তৈরির উদ্যোগসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন।


ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি অতিথির বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান। ইউজিসির সদস্যবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/তুরান/এসবি 

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com