কক্সবাজার ঈদগাঁওয়ে সুপারি বাগানে টমটম চালকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মূল দুই হোতাকে আটক করেছে র্যাব।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক লে. কমান্ডার মাহবুবুর রহমান জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঈদগাঁও জালালাবাদ মিয়াজী পাড়া এলাকা সুপারি বাগান থেকে মোরশেদ আলমের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে র্যাব তদন্ত শুরু করে রহস্য উদঘাটন করে।
আটককৃতরা হলেন- মিরাজিপাড়া ০৪ নম্বর ওয়ার্ড জালালাবাদ এলাকার আব্দু শুক্কর এর ছেলে মোরশেদ আলম (৩১) ও বারুয়াখালী গুনাপাড়া ০৯ নং ওয়ার্ডের ছগির আহমদ এর ছেলে মো. শাহ আলম (৪২)।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর টেকপাড়া এলাকার বোরহান উদ্দিন এর ভাড়া বাসা থেকে প্রধান আসামি মোরশেদ আলমকে আটক করা হয়। একই দিন পিএমখালী পশ্চিম মুহসিনিয়া পাড়া থেকে মো. শাহ আলমকে আটক করে।
র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক লে. কমান্ডার মাহবুবুর রহমান জানান, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মোরশেদ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে অন্যান্য সহযোগীদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টমটম ও ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়।
র্যাব জানায়, আটককৃত মোরশেদ অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের দলনেতা। বিভিন্ন সময়ে মোরশেদ তার সহযোগীদের মাধ্যমে কক্সবাজার শহর ও আশপাশ এলাকার অটোরিকশা ভাড়ার কথা বলে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করত সর্বস্ব লুটে নেয় এবং ছিনতাইকৃত অটোরিকশা অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। সেদিন মোরশেদ তার সহযোগীসহ নিহত মোরশেদ আলমের অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে মোরশেদকে হত্যা করে অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
আটককৃত আসামিদের ঈদগাঁও থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মাহবুবুর রহমান।
বিবার্তা/তাফহীমুল/জামাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]