পটুয়াখালীর বাউফলে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সুদখোরের নির্যাতনের ভয়ে ভিটামাটি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবার। সুদখোরের হাত থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের মানখাম গ্রামের ওই সংখ্যালঘু পরিবারটি।
মঙ্গলবার পৌরশহরে সরকারি কবরস্থানের পাশে একটি ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগী জয়ন্ত বিশ্বাস (৩৫) বলেন, বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের মানখাম গ্রামের বাসিন্দা মো. জালাল হাওলাদারের ছেলে মো. কামাল হাওলাদারের কাছ থেকে দশ বছর আগে সুদের ওপর পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। তিন বছর আগে জমিজমা বিক্রি করে সুদ-আসলে প্রায় বারো লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। তিন বছর পর আবারও তিন লাখ টাকা দাবি করেন কামাল। টাকা দিতে না পারায় আমাদের বসত ঘরে হামলা করেন
কামাল ও তার ভাই মো. রফিক। তাদের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে বাঁচতে মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গত চার মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। একমাস আগে আমাদের ৪০ কড়া জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে কামাল ও তার পরিবারের লোকজন।
জয়ন্ত বিশ্বাসের মা কানন বিশ্বাস বলেন, যেটুকু জমি ছিল তা বিক্রি করে সুদের টাকা দিয়েছি। এখন ভিটা ছাড়া কিছু নেই। সেই ভিটায় থাকতে পারছি না। আরও টাকা চায়। দিতে না পারায় আমাদের ঘর দুয়ার ভাঙে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার ছেলেকে মারার হুমিকও দিয়েছে। তাই ঘর-বাড়ি ছেড়ে মেয়ের বাড়িতে ওঠছি।
সুদ ব্যবসায়ী কামালের অত্যাচার-নির্যাতনের কথা সাংবাদিকদের জানানোর কারণে জয়ন্ত বিশ্বাসের বোনের ছেলে আশিসকে মুঠোফোনে হুমিকও দিয়েছে সুদি কামাল। হুমকির ফোন রেকর্ডে কামালকে বলতে শোনা যায়, ‘সাম্বাদিক আমার কি করবে। আমি কোনো সাম্বাদিক জিগাই না। আমি সাম্বাদিক মারি। সাম্বাদিক আমার কাছে পাঠিয়ে দিস।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. কামাল হাওলাদার মুঠোফোনে
বিবার্তাকে বলেন, আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে জমি দেওয়ার কথা বলে। যার স্বাক্ষী আছে। এহন আমারে জমির দলিল দিতে হবে।
এবিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবার্তা/রোমেল/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]