রাজবাড়ীর পাংশায় ৬ মাসের শিশু সন্তান আব্দুলকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। 

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শিশু আব্দুলের মা মিম ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের আল-আমিনের স্ত্রী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত দুই বছর আগে আল-আমিনের দিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো। আব্দুল জন্ম নেওয়ার তিন মাস পর স্বামীর বাড়ি রেখে মা মিম বাবার বাড়ি চলে যায়। বাবার বাড়ি গিয়ে স্বামী আলামিনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া আদালতে একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করে এবং আদালতের মাধ্যমে মিমাংসা করে আমার স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসে। ফিরে আসার পরেও তিন বার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাবার বাড়ি চলে যায়। পরবর্তীতে আবারও ফিরে এসে সংসার করতে থাকে।

নিহত শিশুর দাদা হাবিবুর প্রামানিক বলেন, সকালে বাড়ির সবাই বাহাদুরপুর চরে আঁখ ক্ষেতে কাজ করতে যায়। বিকাল ৩ টার দিকে সংবাদ পাই আমার নাতি আব্দুল মারা গেছে। সকালে আমার নাতিকে সুস্থ  স্বাভাবিক ভাবে খেলতে দেখে গেছি। আমার বউমাই আমার নাতিকে হত্যা করেছে।

নিহত আব্দুলের  পিতা আলামিন বলেন, আমার স্ত্রী বিভিন্ন সময় আমাকে এবং আমার ছেলেকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিতো। স্বামী আলামিন ও পরিবারের দাবি। নিহত আব্দুলের গলায় কালো দাগ হয়ে গেছে। আব্দুলের মা (মিম) হয়তো গলাটিপে মেরে ফেলেছে।

অভিযুক্ত নিহত শিশু আব্দুলের মা মিম ঘটনার পর থেকে অন্যত্র থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা ওপাংশা মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।

সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, এটি হত্যা, নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের পিতা-মাতা ও দাদা-দাদিকে জিজ্ঞাস্বাবাদ করা হবে। তাদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মিঠুন/এসবি