ফুলবাড়ীতে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:০৮
ফুলবাড়ীতে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টায় প্রথমবারের মতো রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের সাহায্যে ধান রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।


উপজেলার ২নং আলাদীপুর ইউনিয়নের গোকুল এলাকার কৃষক সাইফুল ইসলামের জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্ট মেশিনের সাহায্যে সমলয় চাষাবাদে বোরো ধান চারা রোপণ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মনজু রায় চৌধুরী।


গোকুল গ্রামে আধুনিক পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্ট মেশিনের সাহায্যে সমলয় চাষাবাদে বোরো ধান চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলাম। 


এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুশ সাকির বাবলু প্রমুখ। এ সময় গ্রামের শতশত কৃষক রোপণ পদ্ধতি দেখতে ভিড় জামান।


জানাগেছে, এই রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের সাহায্যে প্রতি বিঘা জমিতে ধান চারা রোপণ করতে ১ লিটার ডিজেল খরচ হয়। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকের খরচ কমবে এবং সেইসঙ্গে ফলনও বাড়বে। সমলয় চাষবাদ এর উদ্দেশ্য হল কৃষকদের মাঝে সমবায়ী মনোভাব তৈরি করা। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে খরচ কমবে এবং সেইসঙ্গে ফলনও বাড়বে। যা দেশে খাদ্য চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  


উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় এই প্রথম ধানের চারা রোপণে রাইস ট্রান্সপ্লান্ট যন্ত্রের সাহায্যে ধান চারা রোপণ শুরু করা হলো। ৪৪জন কৃষক এই পদ্ধতিতে ৫০ একর জমিতে বোরো চাষ করছেন। প্রথম পর্যায়ে কৃষকদের কোনো খরচ লাগছে ধান বীজসহ সব খরচ কৃষি বিভাগ বহন করছে।


কৃষক মদন চন্দ্র রায় জানান আমি এবার দুই বিঘা জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করবো। এই জমি রোপণে আমার অন্তত ৫ হাজার টাকা খরচ হতো। কিন্তু এই পদ্ধতিতে ৬টাকা খরচ হবে। এছাড়া কৃষি শ্রমিক পেতেও খুব কষ্ট হতো। এ মৌসুমে কৃষি প্রনোদনার বিনামূল্যে ধান রোপণ করছি। এ পদ্ধতিতে বিঘা প্রতি মাত্র ৩০০ টাকা খরচ হবে। কৃষি শ্রমিক খোঁজার হয়রানিও কমে যাবে।


কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ নিয়ে আমাদের কোন ধারণা ছিলনা। কিন্তু এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং তাতে আমাদের ধারণা পাল্টে গেছে। আগে ধান রোপণে অনেক পরিশ্রম করতে হতো। আজ ২০ মিনিটেই আমার ৩০ শতাংশ জমির ধান রোপণ করা হলো।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, সমলয় চাষাবাদে আমরা এ এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। এখন তারা এ পদ্ধতিতে ধান চাষে আগ্রহী। চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনার আওতায় থাকা ৪৪ জন কৃষক এ সুবিধা পাচ্ছেন।


বিবার্তা/ধীমান/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com