পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মারিয়া আক্তার তন্বী (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে ও পরবর্তীতে হত্যার ঘটনায় পলাতক প্রধান আসামি মিনহাজুল রহমান রাব্বিকে (২২) গ্রেফতার হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে মঠবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত রাব্বি মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুজিবুর রহমানের ছেলে। অপরদিকে, নিহত তন্বী উপজেলার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের দুবাই প্রবাসী হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং মঠবাড়িয়া কেএম লতীফ ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সকালে নিহত মারিয়া আক্তার তন্বীর ভাই মেহেদী হাসান (২৩) বাদী হয়ে রাব্বি, তার বাবা মুজিবুর রহমান, মা শিরিন বেগম ও বোন মাকসুদা আক্তারকে আসামি করে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ওই দিনই রাব্বি ছাড়া অন্য ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
নিহত তন্বীর চাচাতো ভাই ফোরকার হোসেন জানান, রাব্বির সাথে প্রেমে জড়িয়ে ঘটনার ৩ মাস আগে ঢাকায় পালিয়ে যায়। এদিকে তন্বীর মা শোক সইতে না পেরে স্ট্রোক করে মারা যান। পরে ৩ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান শিকদার ও ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান মিলনের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি তাদের বিয়ে হয়। ঢাকায়ও তাদের বিয়ে হয়েছিলো। বিয়ের পরে বাড়িতে থেকে তন্বী তার ভাইকে মাঝে মধ্যে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতো।
গত ২৩ জানুয়ারি সকালে ভাইকে যেতে বললে, তন্বীর ভাই ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেনি। বিকালে আবারও যেতে বললে তন্বীর ভাই যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। ৫টার দিকে তাকে বলা হয় হাসপাতালে যেতে। হাসপাতালে গিয়ে গিয়ে বোনের লাশ দেখতে পান। এ ঘটনার পর থেকে তন্বীর স্বামী মিনহাজুল রহমান রাব্বি পলাতক ছিলেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গ্রেফতারকৃত মিনহাজুল রহমান রাব্বিকে বুধবার দুপুরে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।
বিবার্তা/তাওহিদুল/জামাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]