সেনাবাহিনীর সাথে গোলাগুলিতে কেএনএফ সদস্য নিহত
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪১
সেনাবাহিনীর সাথে গোলাগুলিতে কেএনএফ সদস্য নিহত
বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সাথে কেএনএফের গোলাগুলিতে এক কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছে।


২৯ জানুয়ারি, রবিবার সকাল ১১টায় মুননুয়াম পাড়া থেকে লাশটি উদ্ধার করে রুমা থানা পুলিশ। এসময় একটি অস্ত্র ও ৩০টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।


ঘটনাটি নিশ্চিত করে রুমা থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, শনিবার রাতে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়ে পাইন্দু ইউনিয়নে মুয়ালপি পাড়া থেকে ৪০ বাসিন্দা পালিয়ে রুমা উপজেলা সদরে চলে আসেন। পরে রবিবার সকালে ঘটনাস্থলের আশপাশে অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সাথে গোলাগুলিতে কেএনএফ এর এক সদস্য মারা গেছে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।


পুলিশ জানায়, গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলার কারণে কেএনএফের সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী দূর্গম বিভিন্ন পাড়ায় অবস্থান করছে। সেখানে সম্প্রতি গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। তাদের অবস্থানের কারণে আতঙ্কিত হয়ে বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে।


জানা গেছে, রুমা উপজেলার মুননুয়াম পাড়া ক্যাম্পে যাওয়ার সময় কেএনএফ এর সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। এসময় সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই কেএনএফ এর এক সদস্য মারা যায়। পরে রোববার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।


বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ভয়ে মুয়ালপিপাড়ার ৪৫টি মারমা পরিবার পালিয়ে গেছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। পালিয়ে যাওয়াদের একাংশ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রুমা উপজেলা সদরে এসে আশ্রয় নিয়েছে বলে ইউএনও মামুন শিবলী জানিয়েছেন। জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এদিকে কেএনএফের বেপরোয়া তৎপরতার আতঙ্কে আর্থাপাড়া, বাসত্নাংপাড়ার, হ্যাপিহিলপাড়ার বমরাও বাড়িঘর ছেড়ে বনেজঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন।


রুমা সদরে আশ্রয় নেওয়া মারমারা জানান, কয়েক দিন ধরে মুয়ালপিপাড়ায় কেএনএফের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। মুয়ালপিপাড়াতে ৮০ পরিবার বম ও ৪৫ পরিবার মারমার বসবাস রয়েছে। পাড়াবাসীরা কেএনএফ সদস্যদের খাওয়া-দাওয়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন। গতকাল মারমা বাসিন্দাদের পাড়া ত্যাগ করার জন্য কেএনএফ সদস্যরা নির্দেশ দেয়। না হলে তাদের বিপদ হতে পারে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে মারমারা যে যেদিকে সম্ভব বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে থাকেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে একাংশ উপজেলা সদরে পৌঁছে।


মুয়ালপিপাড়াটি রুমা উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার দুরে নপাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা জানান, কয়েক দিন ধরে কেএনএফ ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আর্থাপাড়া, বাসত্নাংপাড়া, হ্যাপিহিলপাড়া, মুন্নুয়ামপাড়া ও মুয়ালপিপাড়া এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।


বিবার্তা/আরমান/জামাল

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com