জাহাজের একটি খালি কন্টেইনারে মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে উদ্ধার হওয়া কিশোরের পরিচয় পাওয়া গেছে। প্রথম পর্যায়ে এই কিশোরকে রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হলেও, তার নাম রাতুল (১৫)। মানসিক ভারসাম্যহীন এ কিশোরের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায়।
রাতুল উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া গ্রামের দিনমজুর ফারুক মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দিনমজুর ফারুকের ৩ ছেলে। রাতুল সবার বড়। অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে কোনোভাবে পরিবার নিয়ে চলেন ফারুক। রাতুল নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে পারেননি ফারুক। নিখোঁজ রাতুল কিভাবে কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়া পৌঁছেছে তা জানেন না তার পরিবারের কেউই।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ জাহাজের একটি খালি কন্টেইনারে আটকা পড়েন রাতুল। জাহাজটি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে যাওয়ার পর ১৬ জানুয়ারি কন্টেইনারের ভেতর থেকে শব্দ শুনতে পান নাবিকরা। পরে তারা কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। পরদিন ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে জাহাজটি জেটিতে এনে কন্টেইনার খুলে কিশোর রাতুলকে উদ্ধার করে সে দেশের প্রশাসন।
রাতুলের বাবা ফারুক মিয়া জানান, ২ মাস ৭ দিন আগে বাসা থেকে বের হয় রাতুল। তারপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। অসুস্থ সন্তানকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। রাতুলের খোঁজ পেতে আত্মীয় স্বজনদের বাসায় খবর নেওয়া হয়। কিন্তু খোঁজ মেলেনি রাতুলের।
রাতুলের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমি আমার সন্তানের আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আপনারা যেইভাবে পারেন আমার ছেলেকে ফিরিয়ে এনে দেন। আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি যেন তারা আমার ছেলেকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেন।’
মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিক আহমেদ বলেন, ‘ছেলেটি আমার ইউনিয়নের। কিছুদিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল। গতকাল একটা ভিডিও দেখে ফারুক আমাকে জানায় তার ছেলে মালয়েশিয়ায় একটি কন্টেইনারে আটকে আছে। আমরা বিষয়টি তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি।’
বিবার্তা/এসএফ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]