ইমনের (১৮) সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রুপার (১৫)। ৬ মাসের প্রেমের পর নিজেরাই করে নেন বিয়ে। তবে পরিবার এই বিয়ে না মানায় একসঙ্গে বিষপান করেন দম্পতি ইমন ও রুপা। শেষ পর্যন্ত ইমন বেঁচে গেলেও মারা গেছেন রুপা।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইমনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদিকে রুপার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার খুবজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুপা খাতুনের সঙ্গে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার হায়দারাবাদ গ্রামের ইমনের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৬ মাস ধরে চলছিল হৃদয়ঘটিত সম্পর্ক। রবিবার প্রেমিক ইমন গোপনে প্রেমিকা রুপার সঙ্গে দেখা করার পর বিয়েও করেন তারা।

পরে ইমন বিয়ের বিষয়টি রুপার পরিবারে জানালে তারা ওই বিয়ে মেনে না নিলে অভিমানে দুজনই কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রেমিকা রুপার মৃত্যু হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক দিল শামিমা আফরোজ আরশি জানান, বিকেলে বিষপান করা অবস্থায় আশঙ্কাজনক দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তরুণীর মৃত্যু হয়। পরে ইমনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে।

গুরুদাসপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান জানান, আত্মহত্যার ঘটনায় কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিবার্তা/বিএম