
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভাঙা ব্রিজ দিয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে কয়েক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। তবে এখন পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে না কোন উদ্যোগ। দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও কেন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট দফতর এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের। তবে ব্রিজ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা, কারেন্ট বাজার, ডাংগার চরসহ প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন ভাঙা ব্রিজ দিয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের আওতায় সেতু কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ৪০ ফিট এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।
পাত্রখাতা এলাকার মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, নির্মাণের কিছুদিন পরেই বন্যার পানির তোড়ে সেতুটির একদিকে ডেবে বন্ধ হয়ে যায় চলাচল। যদিও বন্যার পর সামান্য মাটি কেটে দায়সারা কাজ করেন কর্তৃপক্ষ। সঠিক পরিকল্পনা এবং তদারকি না থাকায় কিছুদিনের মাথায় ব্রিজটির অপরদিকে ভেঙ্গে হেলে আবারো ধসে যায় মাটি।
ওই এলাকার স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী হৃদয় ইসলাম, হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিদিন স্কুলে যাইতে হয় এই ভাঙ্গা ব্রিজের উপর দিয়ে তাছাড়া আমাদের খুব কষ্ট আর ভয় লাগে। কারণ বাশেঁর সাকোর উপর দিয়ে সাইকেল পাড়াপাড় করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।
পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় একদিকে মাটি ভরাট অপরদিকে বাশেঁর সাকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
বর্তমানে এলাকাবাসি ও চেয়ারম্যান এর সহযোগিতায় তৈরী করা বাশেঁর সাকোটিও এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে তাছাড়া হরহামেশাই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সিরাজউদ্দৌলা বলেন, পাত্রখাতার ব্রিজের বিষয়টি আমার দৃর্ষ্টিগোচর আছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো: মাহাবুবুর রহমান জানান, পথচারিদের চলাফেরার কোন রকম দূর্ভোগ যাতে না হয় সে বিষয়ে সকল কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
বিবার্তা/রাফি/বিএম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]