শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ, ভোটের অপেক্ষা
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০০:৩৭
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ, ভোটের অপেক্ষা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়েছে শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে। নির্বাচনের বাকি আর মাত্র এক দিন। অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি এ সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


এখন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়-পরাজয়ে নিয়ামক কারা হবেন, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা নাকি দলীয় প্রতীক, নারী নাকি নতুন ভোটার কারা নির্ধারণ করবেন নগরপিতা-নগরজুড়ে এমন আলোচনাই সবার মধ্যে।


জয়ের জন্য প্রতিনিয়ত নিজেদের মতো করে কৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।


শুক্রবার রাত ১০টায় নিজ বাসভবনের মজলুম মিলনায়তনে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ‘হঠকারী’। নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা ও প্রশাসনের কারণে আমরা সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিয়ে শঙ্কিত।


প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তৈমুর বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ, তিনি প্রতিটি স্কুল ডিজিটালাইজড করছেন, সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এসব স্কুলের ভোট কেন্দ্রে ভোট চলাকালে সিসিটিভি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা আমাকে এটা জানিয়েছে। এটার কী মানে দাড়ায়। এটা আপনারা বিবেচনা করবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন।


তিনি বলেন, পুলিশি নির্যাতন চালানোর জন্য তারা এই সিসি ক্যামেরা তুলে ফেলার চেষ্টা করছেন। আপনারা যাচাই করে দেখবেন। সকলের কাছে আমার অনুরোধ সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে আপনারা এই সিসি ক্যামেরাগুলো রাখার ব্যবস্থা করবেন। একে একে আমার নেতাকর্মীদের বিনা কারণে বিনা মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে, প্রতিদিনই কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে পুলিশ যেয়ে তল্লাশির নামে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে।


তৈমুর বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততায় আমি নিজেই লজ্জিত। আজকে শুক্রবার বন্দরে আমাদের গণসংযোগে হাজার হাজার লোক ছিল; কিন্তু বহিরাগত ছিল না। কিন্তু সরকারদলীয় মেহমানরা সেখানে ছিলেন। রাস্তা বন্ধ করে ৪টা ট্রাকে মঞ্চ বানিয়ে সভা করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নিশ্চুপ। আপনাদের মাধ্যমেই আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, সন্ত্রাসমুক্ত নারায়ণগঞ্জ করার জন্য, দুর্নীতিমুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়ার জন্য নিশ্চয়ই আপনারা আমাকে ভোট দিবেন। আমি সাতাশটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখেছি। নারী আর শিশুরা বলেছে নৌকা নৌকা, যুবক বৃদ্ধরা বলেছে নৌকা নৌকা। শেখ হাসিনার নৌকা যাবেই যাবে ইনশাআল্লাহ। ১৬ তারিখে ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।


তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন সেই দুঃসময়ে যখন নারায়ণগঞ্জে কেউ ছিল না, পালিয়ে ছিল অনেকে সেই সময়ে নেত্রী আমাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করেছিলেন পৌরসভায়; তখনো আমি জিতেছিলাম। শেখ হাসিনা আমাকে যে টাকা দিয়েছেন আমি নারায়ণগঞ্জের কোনায় কোনায় উন্নয়ন করেছি।


সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, আমি চেষ্টা করেছি এ শহরের মাটি ও মানুষের কাজ করার জন্য। আমার বাবা আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। বাবার কাছে শিখেছি কীভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে হয়।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com