শিরোনাম
পানিতে ভাসছে কুড়িগ্রাম
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২১, ১৬:১৪
পানিতে ভাসছে কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

করোনার প্রভাবে টানা দুই বছরের ক্ষতির রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই শুষ্ক মৌসুমে আকস্মিকভাবে উজান থেকে পাহাড়ী ঢল নেমে এসে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বেড়ে উঠায় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।


বৃহস্পতিবার (২১অক্টোবর) সকাল ৯টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার রাতেই পানির প্রবল স্রোতে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরা দাঁড়িয়ার পাড় বাঁধ ভেঙ্গে গেলে এলাকাবাসীরা রাতেই সে বাঁধ বালুর বস্তা ফেলে মেরামত করে। তলিয়ে যায় ৫শ হেক্টর আলু, বাদাম ও ধানক্ষেত। ডুবে যায় প্রায় ৪ শত পুকুর। ফলে বন্যায় লোকসানে পথে বসার উপক্রম হয়েছে চাষীদের।


কেউ কেউ ঋণের টাকা নিয়ে বেশি লাভের আশায় আগাম সবজি রোপণ করেছিলেন। স্বাবলম্বী হওয়ার বদলে এখন নিঃস্ব হওয়া কৃষকদের চোখে-মুখে হতাশার হাতছানি দেখা দিয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২১অক্টোবর) কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। এসময় রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার উপস্থিত ছিলেন।


গতকাল বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে রাজারহাট উপজেলার কাউনিয়া পয়েন্টে আকস্মিকভাবে পানি বাড়তে শুরু করে। বিকেল গড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে প্রবল বেগে পানি উপজেলার চর খিতাব খাঁ, চর গতিয়াসাম, চর বিদ্যানন্দ, চর রাম হরি, চর তৈয়বখাঁ গ্রামে প্রবেশ করে। এতে সহশ্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় তিস্তার চরের আনুমানিক ৫'শ হেক্টর জায়গাজুড়ে আলু, বাদাম সহ ধান ক্ষেত। আকস্মিক বন্যায় মাঝ রাতে ডুবে যায় এসব এলাকার প্রায় চার শতাধিক পুকুর।


সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের রান্না ঘরে পানি ওঠায় বন্ধ রয়েছে রান্না। নিম্ন আয়ের অনেক পরিবারে নেই শুকনো খাবার। গবাদি পশু নিয়ে সঙ্কটে রয়েছে বানভাসি পরিবারগুলো ।


কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার (২১অক্টোবর) সকাল ৯টায় কাউনিয়া পয়েন্টে উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টা পর পানি কমতে শুরু করবে।


রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম বলেন, ডিসি স্যার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ইতো মধ্যে পানি কমতে শুরু করেছে। এছাড়া বন্যাকবলিত পরিবারের তালিকা তৈরি করে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।


কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম বলেন, বন্যা কবলিতদের নিরাপদ স্থানে ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রান ও শুকনো খাবার রয়েছে।


বিবার্তা/সৌরভ/ইমরান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com