শিরোনাম
নির্মাণের ১৭ বছরও চালু হয়নি ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনাল
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২১, ১৫:৫৭
নির্মাণের ১৭ বছরও চালু হয়নি ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনাল
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

যাত্রীদের সুবিধার্থে ২০০৩ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার অধীনে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে পাঁচ বিঘা জমির ওপর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। তৎকালিন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া এ টার্মিনালটির উদ্বোধন করেন।


পাকা ভবনের নিচে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা, ক্যান্টিন, কাউন্টার, টয়লেট ও নামাজের ব্যবস্থা এমনকি যাত্রীদের খাবার ও কেনাকাটার জন্য দোকান ঘর থাকলেও নেই শুধু বাস, আর যাত্রীর কোলাহল।


নির্মাণের ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো চালু হয়নি এই বাস টার্মিনাল। সব ধরনের সুবিধা থাকার পরও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর অদৃশ্যতার কারণে ব্যবহার হচ্ছে না বাস টার্মিনালটি। ফলে রোদ-বৃষ্টিতে কষ্ট করে রাস্তা থেকেই বাসে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের। পরিত্যক্ত অবস্থায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় ও বহিরাগতদের প্রবেশে এখন মাদকসেবী ও অসামাজিক কার্যকলাপসহ অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এটি।


বৃহস্প্রতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার একমাত্র বাস টার্মিনালটি মানব শূন্য। দুটি বিশ্রামাগার ও একটি টিকিট কাউন্টার থাকলেও তা তালাবদ্ধ। পরিষ্কার না করায় ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে ভবনের চার পাশ। ভেঙে পড়চ্ছে দরজা-জানালা। ভেতরে বেশ কয়েকটি বাঁস থাকলেও তা বিকল। দিনাজপুর-পঞ্চগড়ের যাত্রীরা ওঠানামা করছে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের ওপর থেকে।


স্থানীয়রা জানান, টার্মিনাল থাকার সত্যেও পরিবহন কোম্পানিগুলো ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে। এতে দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে তেমনি সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। বাধ্য হয়ে যাত্রীদের রোদ-বৃষ্টিতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পেড়িয়ে গেলেও টার্মিনালটি চালু না হওয়ার পেছনে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাই দায়ী বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।


অন্যদিকে কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা নিয়মিত কাজে ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে। টার্মিনালে বাস না থাকায় তারা বাসের জন্য দীর্ঘ সময় মহাসড়কের পাশেই চায়ের টঙে অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় তাদের প্রসাব-পায়খানার চাপ অনুভূত হলেও কিছুই করার থাকে না। সরকার এত টাকা দিয়ে টার্মিনাল তৈরি করে দিয়েছে, তা এখন মাদকসেবীদের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। তাদের আশা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।


এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সচিব রাশেদুর রহমান বলেন, এর আগে বেশ কয়েক বার এ টার্মিনাল নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই একটা সমাধাণ হবে।


ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান জানান, আমার এজেলায় আসার বেশি দিন হয়নি। সব কিছু গুছিয়ে নিতে একটু সময় লাগছে। বাস টার্মিনালটির বিষয়ে আমি যথাযথ পদক্ষেপ নেব।


অন্যদিকে, জেলা মোটরমালিক সমিতির সভাপতি হায়দার আলী বাবলু’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


বিবার্তা/মিলন/ইমরান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com