শিরোনাম
ফেনীতে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:১১
ফেনীতে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন
ফেনী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ফেনীর বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী কায়সার মাহমুদ হত্যার দায়ে স্ত্রী শাহনাজ নাদিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেসা আজ বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন।


রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো একমাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় শাহনাজ নাদিয়া উপস্থিত ছিল।


রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ বলেন, কায়সার মাহমুদ হত্যা মামলায় আসামি শাহনাজ নাদিয়া জড়িত থাকার বিষয় রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ ধরনের দায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে আর কেউ অপরাধ করতে সাহস করবে না।


আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান কবির বেঙ্গল জানান, ১৬৪ ধারার জবানবন্দি নির্ভর করে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা যথাযথ রায় পাইনি। অচিরেই উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।


জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল বিকালে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর পর স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে ফালাহিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে পুকুর পাড়ে নির্জন স্থানে রাত ৯ টার দিকে কায়সার খুন হয়। এই ঘটনায় কায়সারের পিতা প্রফেসর আবুল খায়ের বাদী হয়ে শাহনাজ নাদিয়া ও তাদের বাড়ির মো. হারুনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। কায়সারের স্ত্রী নাদিয়াকে ২০১৪ সালে ১৩ এপ্রিল গ্রেফতারের পর তৎকালিন সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমিনের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। এ মামলার অপর আসামি বন্দুয়া দৌলতপুর গ্রামের মৃত মো. হাফেজের ছেলে মো. হারুন একই বছর আগস্ট মাসে দূর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়।


তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হারুন ও নাদিয়াকে অভিযুক্ত করে ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করে। বাদী প্রফেসর আবুল খায়ের আদালতে আপত্তি জানালে পুনঃতদন্ত করার নির্দেশ দেন আদালত। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুল ইসলাম নাদিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করে। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগগঠন করে বিচারকাজ শুরু হয়।


এ বছরের গত ২০ সেপ্টেম্বর জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেসার আদালতে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। এই মামলায় বিভিন্ন সময় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেসা।


বিবার্তা/সাব্বির/ইমরান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com