দিনাজপুরে বিয়ের দিন সকালে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হওয়ায় বিয়ে ভেঙে দিয়েছে বরপক্ষ। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পার্বতীপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, আলুভর্তা করে দেয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে প্রতিবেশী আব্দুর রহমান বাবলু (৪৫)। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পার্বতীপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে প্রতিবেশী বাবলু ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে আলু ভর্তা করে দেয়ার জন্য ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় কিশোরীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে বাবলু হাতেনাতে ধরা পড়ে। তবে রাতে ওই কিশোরীর বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় ঘটনাটি সারাদিন চেপে রাখার চেষ্টা করে ভুক্তভোগীর পরিবার। কিন্তু সন্ধ্যা পার না হতেই বরপক্ষের কানে পৌঁছে যায় ঘটনাটি। ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হওয়াতে বিয়ে ভেঙে যায়।

ভুক্তভোগী কিশোরীর দাদা বলেন, শনিবার রাতে তার নাতনির বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। ওই দিন সকালে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। অনেক চেষ্টা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও তা জানাজানি হওয়ায় বিয়ে ভেঙে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্রামবাসী অভিযুক্ত আব্দুর রহমান বাবলুকে আটক করেছিলো। গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বাবলু। পরে রবিবার ওই ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ বাবলুকে গ্রেফতার করে।

পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশের ওসি ইমাম জাফর জানান, ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

বিবার্তা/জুয়েল/বিদ্যুৎ