শিরোনাম
হাইমচরে পানিবন্ধি হাজারো পরিবার
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:২২
হাইমচরে পানিবন্ধি হাজারো পরিবার
হাইমচর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার বেড়িবাঁধের বাহিরে নিম্নাঞ্চল এলাকায় মেঘনা নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম। সোমবার থেকে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার নয়ানী ও কাটাখালিসহ বেশ কিছু গ্রামে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে হাজারো পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।


এতে করে পানের বোরজ, মৎস্য খামার ও রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তরাঞ্চল থেকে বন্যার পানি চাপের কাররে মূলত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায় বলে জানায়িছেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, এখন মনি আমবস্যা চলছে। যার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।


নয়ানী গ্রামের লোকজন বলেন, বেড়ি বাধের বাহিরে গত সোম ও মঙ্গলবার দুপুর থেকে পানি বৃদ্ধি পায়। বিকেলে পানি বাড়তে থাকে। এরপর রাতে আবার পানি কমতে থাকে এ সময় পানের বোরজ, রোপা আমন, বসত বাড়ী ও মৎস্য খামার তলিয়ে যায়। অনেকে মাছের খামারের মাছ চলে গেছে।


চাঁদপুর হাইমচর উপজেলা সদর কাটাখালি টু আলগী বাজার সড়কে ২০০৯ সালে ডাক্তার দীপু মনি এমপি পরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর এই রাস্তাটি তিনি ব্যবহার করেছেন। গত বছর এ রাস্তাটি দিয়ে এভাবে জোয়ারের পানি ঢুকায় রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যায়।জনগণের দাবি এ রাস্তাটি মেরামত করা হয় তাহলে আর কোনো পানি ঢুকবে না। গত বছর এ রাস্তাটি দিয়ে এভাবে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এক একবছরে ও রাস্তাটি মেরামত করা হয় নাই। এদিকে পানি প্রবেশ করার ফলে হাজার পরিবার ঘর বন্ধি জীবন-যাপন করছে।
জনগণের এই আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি কাছে দাবি করেন, রাস্তাটি মেরামত করার পাশাপাশি ১ ফুট উচ্চতা বাড়ানো যায়, তাহলে আর কোনো পানি যাবে প্রবেশ করবে না।


নাম প্রকাশ করা না র্শতে একজন বলেন, আমরা নয়ানী গ্রামের মানুষ গুলো প্রতিবছর এভাবে পানি বন্ধী হয়ে জীবন-যাপন করছি, কিন্তু কোনো জনপ্রতিনিধি আমাদের পাশে দাড়াননি। আজকে দুই দিন ধরে পানিতে ঘরবন্ধি, কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা সচিবসহ কাউকে আমরা দেখতে পাইনি।


হাইমচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারন নিম্নাঞ্চল এলাকার মৎস্যচাষী রয়েছেন, তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।


হাইমচর ইউএনও চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের সাথে আমার কথা হয়েছে।বেড়িবাঁধের সংরক্ষণ এলাকা তাদের নজরদারিতে রয়েছে। আর বেড়ি বাঁধের বাহিরের অংশের বাসিন্দাদের আগ থেকেই বলা আছে যাতে করে তারা তাদের মৎস্য খামার উঁচু করে সংরক্ষণ করেন।


বিবার্তা/ইমরান/বিদ্যুৎ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com