শিরোনাম
হঠাৎ শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণায় কর্মস্থলে ফিরতে মরিয়া মানুষ
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২১, ১৮:১২
হঠাৎ শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণায় কর্মস্থলে ফিরতে মরিয়া মানুষ
ভোলা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সরকার হঠাৎ রবিবার (১আগস্ট) থেকে শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণায় কর্মস্থলে ফিরতে কর্মজীবি মানুষেরা মরিয়া হয়ে উঠছে। তাই ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ইলিশা ফেরিঘাট ও ফেরিতে রুপ নিয়েছে জন-স্রোতে।


শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ইলিশা ফেরিঘাট থেকে কৃষ্ণানী, কনকচাঁপা ও কুসুমকলি নামে তিনটি ফেরি ছেড়ে যায়। প্রতিটি ফেরিতেই ছিল জন-স্রোতে।


স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোলার ৭ উপজেলা থেকে কর্মস্থলে ফিরতে আসা হাজারও যাত্রী ছোট-বড় ব্যাগ নিয়ে ফেরিঘাটে এসে অপেক্ষা করছেন পারাপারের জন্য। ঘাটে ফেরি ভিড়লেই রীতিমতো প্রতিযোগিতা করেই উঠছেন ফেরিতে। কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামির সংখ্যাই বেশি।


কর্মস্থলে ফিরতে ইলিশা ফেরি ঘাটে আসা ঢাকাগামি যাত্রী আসমা বেগম জানান, পোশাক কারখানায় চাকুরি করে সংসার চালাতে হয়। তাই গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা খোলার খবর পেয়েই তারা রওনা দিয়েছেন। ১ আগস্ট কাজে যোগদান না দিতে পারলে চাকুরি থাকবে না।


কর্মস্থলে ফিরতে ইলিশা ফেরিঘাটে আসা চট্রগ্রামগামি যাত্রী আনজরা বেগম বলেন, পোশাক কারখানায় চাকুরি করে নিজে ও সংসার চালাই। তাই কারখানা খোলার খবর শুনেই রওনা দিয়েছেন। ১ আগস্ট কাজে যোগদান না দিতে পারলে চাকুরি থাকবে না। আর চাকুরি না থাকলে কেমনে চলবো। তাই শনিবার (৩১ জুলাই) সকালেই ইলিশা ফেরিঘাটে পৌঁছলেও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষার পর ফেরিতে উঠছেন। তার মত এমন অনেকই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা পর ফেরিতে উঠছেন।
কর্মস্থলে ফিরতে ইলিশা ফেরিঘাটে আসা যাত্রী মো. আাব্বাস জানান, কর্মস্থলে যোগ দিতে পরিবার নিয়ে রওনা হলেও কীভাবে ঢাকায় পৌঁছাবো তা বুঝতে পারছি না।


তিনি বলেন, চাকুরি বাঁচাতে পায়ে হেঁটে বা নদী সাঁতরিয়ে হলেও পার হয়ে যেতেই হবে কর্মস্থলে। নাহলে চাকুরি যে থাকবে না।
আয়শা বেগম নামের এক গামেন্টর্স কর্মী জানান, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর পুরুষ যাত্রীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেই লাফ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠতে হয়েছে। এত মানুষের ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো সুযোগই নেই।


শনিবার সকাল থেকেই ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে থাকলেও যাত্রীদের কোনোভাবেই তারা বাঁধা দিয়ে রাখতে পারছেন না।


ইলিশা নৌ থানার ওসি মো. শাহ জালাল জানান, ফেরিঘাটে আসা যাত্রীদের অনেকভাবে বাঁধা দিয়েও আটকানো যাচ্ছে না। তারা কর্মস্থলে ফিরতে মরিয়া।


বিবার্তা/শাহীন/ইমরান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com