শিরোনাম
যমুনার ভাঙনে গৃহহীন ৯২ পরিবার
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২১, ১২:৪৭
যমুনার ভাঙনে গৃহহীন ৯২ পরিবার
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ভৈরববাড়ি গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙনে অন্ত ৯২টি পরিবার গৃৃহহীন হয়ে পড়েছে। এদিকে ভাঙনের কবলে পড়ে শতাধিক মানুষ অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়াও গ্রামটির একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও শতাধিক ঘর-বাড়ি হুমকির মুখের রয়েছে।


পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার রাতে ১৪টি বাড়ি নদী গর্ভে পুরোপুরি বিলিন হয়ে গেছে। ৭৮টি বাড়ি ভাঙন শুরু হওয়ার পর ঘরবাড়ি ভেঙে শনিবার (২৪ জুলাই) সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হঠাৎ করে একদিনে একটি গ্রামের এতগুলো পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ায় হাহাকার শুরু হয়েছে গ্রামটিতে। এ দিকে শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চাল ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।


রবিবার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো বাড়িঘরের জিনিসপত্র নিয়ে রাস্তায় জমা করে রেখেছে। কেউ কেউ নিরাপদ স্থানে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।


গ্রামের গৃহহীন হাসিবুল চৌধুরী বলেন, ২৩ শতাংশের বাড়ির অর্ধেক শনিবার যমুনা চলে গেছে। আসবাব পত্র অন্যের বাড়িতে ও ঘরের বেড়া রাস্তায় রাখা হয়েছে। কোথায় থাকবো ও কোথায় গিয়ে বাড়ি করবো তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।


হালিমা খাতুন বলেন, এই বসত ভিটা আমার শ্বশুড় ৯০ বছর বসবাস করে গেছে। আমরাও প্রায় ৪০ বছর যাবত বসবাস করছি। সেই ২৫ শতাংশের বাড়িটিও চলে গেলো। এখন অন্যের বাসায় রইছি। কই থাকবো, কি করবো সেটা ভেবে পাচ্ছি না।


ওই গ্রামের আব্দুল আজিজ প্রামানিক বলেন, একটি মুরগীর খামার ও বসতবাড়ি শনিবার রাতে নদী গর্ভে চলে গেছে। সব হারিয়ে এখন আমি অসহায়। আগামীতে কিভাবে চলবো সেই চিন্তায় চোখে অন্ধকার দেখছি।


তার প্রতিবেশি শাহজাহান মিয়া বলেন, হঠাৎ করে ভিটেমাটি হারিয়ে তিনি অসহায় হয়ে পড়েছি। তিনি সব হারিয়ে পথে বসেছেন।


সোহেল মিয়া বলেন, এখন কোথায় বসতি স্থাপন করবেন তা ভেবে পাচ্ছি না। তাদের মতো অসহায় মানুষদের সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।


দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন জানান, ৯২টি পরিবার শনিবার ও রবিবার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ভাঙন কবলিত ওই গ্রামে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা হয়েছে।


টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি শনিবার সকালে ভাঙন কবলিত ওই গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। নদীতে ঘরবাড়িসহ সবকিছু বিলিন হয়ে যাওয়া ১৪টি পরিবারকে তিনি পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা করেছেন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।


বিবার্তা/তোফাজ্জল/বিআর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com