শিরোনাম
স্বাস্থ্যবিধি মানছে না হিলি সীমান্তে আসা দর্শনার্থীরা
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২১, ১৬:০০
স্বাস্থ্যবিধি মানছে না হিলি সীমান্তে আসা দর্শনার্থীরা
হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। আর এই খুশি ও আনন্দ ভাগাভাগি করতে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকায় ভিড় করছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীরা।


বিজিবি সদস্যদের অনুমতি নিয়ে সীমান্তের ওপারে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছে অনেকে। তবে সীমান্তের শুন্য রেখা বা হিলি চেকপোস্টে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি।


প্রতি বছর মুসলমানদের দুই ঈদ, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা পুজোসহ বিভিন্ন উৎসবে হিলি সীমান্ত এলাকা (হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট) দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।


করোনা মহামারির মাঝেও বুধবার (২১ জুলাই) ঈদের দিন বিকাল থেকে দর্শনার্থীরা আসতে থাকলে গতকাল (২২ জুলাই) সেই সংখ্যা অনেকটা বেড়েছিলো। তবে আজ ছুটির দিন হলেও কঠোর লকডাউন এর কারণে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তেমন নেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ভ্যান-রিকশা, ইজিবাইক যোগে মানুষ ছুটে আসছেন হিলি সীমান্তের শুন্যরেখা, ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ প্রাচীনতম রেলস্টেশন এলাকা দেখতে। একইভাবে ওপার ভারতের অংশে বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে আসছেন বাংলাদেশি স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে।



কথা হয় ঠাকুরগাঁ থেকে আসা দর্শনার্থী ইমন বাবুর সাথে তিনি বলেন, আমরা ১৮ জন বন্ধু ঈদ উপলক্ষে হিলি সীমান্তসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরতে এসেছি। এখানে দুপুরের দিকে সবাই পৌঁছেছি। আমরা সীমান্ত সংলগ্ন ইমিগ্রেশন, চেকপোস্ট গেট, স্থলবন্দর এলাকা ঘুরে দেখলাম। বন্ধুরা সবাই মিলে ছবি ওঠালাম। সীমান্তের পাশ দিয়ে ঘেঁষে যাওয়া রেললাইনে ঘোরাঘুরি করলাম এবং প্রাচীনতম হিলি রেলস্টেশন এলাকা দেখলাম। সবমিলিয়ে আমরা খুব মজা করলাম। আমাদের ওখানে সীমান্ত এলাকা রয়েছে, কিন্তু হিলির মতো এত কাছাকাছি নেই।


দিনাজপুর থেকে আসা দুলালী রানী বলেন, আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন ভারতে রয়েছেন। কিন্তু করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পাসপোর্টে যাতায়াত বন্ধ। তাই আমরা একে অপরের সাথে দেখাও করতে পারিনি। আমরা শুনেছিলাম ঈদের দিনসহ বড় উৎসব এর দিনগুলোতে বিজিবি সদস্যরা একটু ছাড় দেয়। সে কারণে হিলিতে এসেছি। আমাদের মতো তারাও এসেছে সীমান্তের ওপারে। তবে বিজিবি একেবারে সীমান্তের খুব কাছাকাছি আমাদের যেতে দেয়নি। তারপরও দূর থেকে যতটুকু তাদের সাথে চোখের দেখা দেখলাম, মনের ভাব আদান-প্রদান করতে পারলাম। দূর থেকে হলেও এতেই তৃপ্তি।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থেকে আসা নাসরিন আক্তার বলেন, আমার বাবার বাড়ি ভারতে। কয়েক বছর আগে পলাশবাড়ীতে বিয়ে হয়েছে। করোনার কারণে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকায় ভারতে যেতে পারিনি বাবা-মার সাথে দেখা করতে বা তারাও আসতে পারেনি। তাই ঈদের দিনে, বাবা মার সাথে দেখা করতে এসেছি স্বামীকে সাথে নিয়ে। বিজিবিকে অনেক অনুরোধ করে তারা কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিল। দীর্ঘদিন পর মন খুলে আমার বাবা-মার সাথে কথা বলতে পারলাম। দেখতেও পারলাম।


হিলি আইসিপি ক্যাম্পের চেকপোস্ট কমান্ডার নায়েব সুবেদার ইয়াসিন আলী বলেন, প্রতিবছর ঈদ বা বিভিন্ন উৎসবে হিলি সীমান্ত এলাকায় দর্শনার্থীরা বেশ ভিড় জমায়। ঈদের দিন বিকাল থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করলেও গতকাল ভিড় বেশি ছিল। তবে তার তুলনায় আজকে মানুষের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তারা সীমান্তের শুন্য রেখার পার্শ্বে চেকপোস্ট গেটে দাঁড়িয়ে দেখছে, ছবি তুলছে। এছাড়া কেউ কেউ আসছে ভারতে থাকা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে, দেখা করতে। দীর্ঘদিন পর পরিবারের সাথে দেখা করতে আসায় মানবিক কারণে তাদের মধ্যে দুই-একজনকে সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, তবে সেটা সব সময় নয়।


বিবার্তা/রব্বানী/ইমরান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com