ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীর ওপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ঐ গৃহবধূ বাদী হয়ে স্বামী সুমন সেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রুহিয়া থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, ১০ বছর আগে সুমন সেনের সাথে পূর্ণিমা রানী বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পূর্ণিমাকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে। এতে পূর্ণিমা টাকা আনতে অস্বীকার করলে তার ওপর চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং টাকার জন্য সুমন আরো একটি বিয়ে করেন। গত ৪ জুন সুমন পূর্ণিমাকে আবারো বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলেন কিন্তু পূর্ণিমা টাকা আনতে অস্বীকার করলে সুমনসহ পরিবারের অন্যরা লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ী মারপিট করে শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে স্থানীয়রা পূর্ণিমাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নির্যাতিত পূর্ণিমা জানায়, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য আমার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ী একত্রে বিভিন্ন কৌশলে নির্যাতন করতে থাকে। তাদের এই অমানবিক নির্যাতনে আমার গর্ভে থাকা দুইটি সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। টাকার জন্য আমার স্বামী আমাকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। আর দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে আমার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ঠাকুর চন্দ্র সেন বলেন, সুমন ও পূর্ণীমা’র মাঝে অনেক দিন থেকে সমস্যা চলছে। মাস কয়েক আগে পূর্ণিমাকে না জানিয়ে সুমন গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে। আমরা স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েকবার সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু এতে কোন সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে পূর্ণিমার ওপর বেড়ে যায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
স্বামী সুমন সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনারা কথা বলতে রাজী হননি।
রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, পূর্ণিমা রানীর মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবার্তা/মিলন/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]