করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী শুধু যে মানুষের জীবন বিপন্ন তা-ই নয়, শিল্পকারখানার উৎপাদন ব্যাহত, ব্যবসা-বাণিজ্যেও ধস নেমেছে। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকের ওপর করোনার আঘাত মারাত্মক। এর কারনে কৃষকরাও পরেছে অসহায় হয়ে। বিশেষ করে এই বোরো মৌসুমে ধান কাটার জন্য তারা পাচ্ছে না কোন শ্রমিক। আবার এদিকে ধানে কারেন্ট নামক পোকা গেলে নষ্ট করে দিচ্ছে কৃষকের বিঘায় বিঘায় জমির ধান।
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় ঘুরে দেখা যায় কৃষকরা পাঁকা ধান নিয়ে বিপাকে পরেছে। অনেক ব্যস্ত সময় পারকরছেন ধান কাটা নিয়ে। আবার এদিকে রমজান মাস । অনেকে এই প্রচন্ড রোদের তাপ উপেক্ষা না করেও কেউ কেউ রোজা রেখে কাটছে ধান। এর কারণ হচ্ছে শ্রমিক সংকট। কারেন্ট পোকায় রাতের মধ্যেই শেষ করে ফেলে জমি।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় কারেন্ট পোকা একটিতে ২৪ ঘন্টায় ৩ হাজার বাচ্চা উৎপাদন করে বা এর চেয়ে বেশিও হতে পোকার ওজনের চেয়ে ১০ গুন বেশি খাবার খায়। কৃষকেরা জানান, ক্ষেতে কারেন্ট পোকার উপদ্রব দেখ দেওয়ায় গাছ পুড়ে যাওয়ার রং ধারণ করে মরে যাচ্ছে। এর কারনে আমাদের অনেক আধা পাঁকা ধান কাটতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায় মাঠে সোনালী রঙের ধান দোল খাচ্ছে এবং একটু লক্ষ্য করে তাকালে মনে হয় কোথাও কোথাও কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় চাষী মোঃ মানিক খালিফা জানান আমি ৩ একর জমিতে ধান চাষ করেছি ধানের ফলন ভালো হয়েছিল কিন্তু কারেন্ট পোকার কারনে ধান পুষ্টি হয়নি। রাতারাতির মধ্যে কারেন্ট পোকায় ধান শেষ করে ফেলে। বর্তমানে ধান কাটা নিয়ে খুবই বিপাকে আছি। কোথাও কোন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আবার মেঘ বৃষ্টি হওয়র সম্ভবনা আছে। বৃষ্টি হলেই মনে হয় ধান আর ঘরে তুলতে পারব না। মনে হয় এবছর মাঠের ধান মাঠেই থেকে যাবে, স্ত্রী সন্তান, পরিবার নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে।
এ বিষয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বাবুল আক্তার জানান,কারেন্ট পোকা যদি লাগে তা হলে কোতান, প্লেনাম, পাইথন, নামক ওষুধ প্রোয়োগ করতে হবে। তবে ধান যদি ৮০% পাকে তা হলে ওষুধ প্রয়োগ না করে দ্রæত সময়ের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলে পরামর্শ দেন।
বিবার্তা/মশিউর/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]