ফরমাশ ছাড়াই অনলাইন থেকে পণ্য পেয়ে খেলেন ধরা!
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪১
ফরমাশ ছাড়াই অনলাইন থেকে পণ্য পেয়ে খেলেন ধরা!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

অনলাইনে ফরমাশ দেননি, অথচ আপনার দরজায় একের পর এক পণ্য আসতে শুরু করেছে! তখন আপনার মনের অবস্থা কী হবে?


এ জন্য যদি ক্রেডিট কার্ডে একের পর এক চার্জের ডিজিট বসতে থাকে? নিশ্চয় বিষয়টা চিন্তারই। ছয় মাস ধরে এমনই ঘটনার শিকার হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এক বাসিন্দা।


ওই ব্যক্তির নাম জন দিফিওরে। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার উডসাইড শহরে বসবাস করেন। তাঁর কাছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের মোড়কে বিভিন্ন সময় পণ্য আসতে থাকে। এসব পণ্যের তালিকায় স্ক্রু থেকে শুরু করে সোফা পর্যন্ত ছিল।


দিফিওরে বলেন, ছয় মাস আগে প্রথম তাঁর ঠিকানায় একটি খামে করে দুটো স্ক্রু আসে। এতে গ্রাহকের নামের স্থানে ডেনিয়েল উইলিয়ামস লেখা ছিল।


তখন তিনি ভেবেছিলেন, এই নামে হয়তো নতুন প্রতিবেশী এসেছেন, পণ্যটি তাঁর। তবে আশপাশে তিনি এই নামের কাউকে পেলেন না।


একপর্যায়ে তিনি পার্শ্ববর্তী লা হোন্ডা শহরে ডেন উইলিয়াম নামের একজনকে খুঁজে পান। তবে ওই ব্যক্তি জানিয়ে দেন, তিনি এমন কোনো পণ্যের ফরমাশ দেননি।


দিফিওরে বলেন, এরপর বিভিন্ন সময় তাঁর ঠিকানায় আরও নানা পণ্য আসতে থাকে। এসবের মধ্যে সোলার প্যানেলের কেব্‌ল, ভিডিও গেমের কনসোল, ছবির ফ্রেম, পোর্টেবল ফুট স্পা প্রভৃতি ছিল।


দিফিওরে বলেন, একপর্যায়ে তিনি ও স্ত্রী জেন তাঁদের ঠিকানায় আসা পণ্যের মোড়ক খোলা বন্ধ করে দেন। তাঁরা এসব ডেলিভারি ম্যানের কাছে ফেরত দিয়ে দিতেন।


কিন্তু একদিন তাঁদের ঠিকই নড়েচড়ে বসতে হয়।


কারণ, ওই দিন দিফিওরে দেখেন একটি সোফার জন্য তাঁর অ্যামাজন প্রাইম ক্রেডিট কার্ডে ৪৫৯ মার্কিন ডলার তথা ৫০ হাজার টাকার বেশি চার্জ করা হয়েছে এবং রীতিমতো ওই সোফা তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গেছে।


দিফিওরে বলেন, তখন তিনি ওই সোফা রিফান্ড করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। কারণ, এটি তাঁর অ্যামাজন অ্যাকাউন্ট থেকে ফরমাশ করা হয়নি।


দিফিওরে বলেন, বিভিন্ন সময় এমন প্রতারণামূলক ফরমাশ করে তাঁর মোট ১ হাজার ডলার (১ লাখ ১০ হাজার টাকা) চার্জ করা হয়েছে। অবশেষে অ্যামাজন তাঁর অভিযোগে সায় দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি তারা আমলে নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট চার্জ ফেরত দেওয়া হবে।


সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দিফিওরে মূলত ব্রাশিং স্ক্যামের শিকার হয়েছেন। এটি একটি প্রতারণামূলক প্রক্রিয়া। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত কোনো কোনো বিক্রেতা তাঁদের ‘রেটিং পপুলারিটি’ বাড়াতে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ক্রেতাদের ঠিকানায় বিভিন্ন পণ্য পাঠিয়ে থাকেন।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com