চিলমারীতে ৪০০ বছরের পুরোনো মসজিদ!
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৩২
চিলমারীতে ৪০০ বছরের পুরোনো মসজিদ!
চিলমারী প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
প্রিন্ট অ-অ+

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রায় ৪০০ বছরের কালের সাক্ষী ‘মসজিদেরপাড় মসজিদ’। ধারণা করা হয়, চিলমারীতে এটিই সবচেয়ে পুরোনো মসজিদ এটিই। স্থানীয়দের ধারণা, মসজিদটি মুঘল আমলে তৈরি করা হয়েছিল।


ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটির অবস্থান চিলমারী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার উত্তরে মজিদের পাড় এলাকায়। তবে ওই এলাকার নামকরণও করা হয়েছে পুরনো মসজিদকে অনুকরণ করা হয় ‘মসজিদের পাড়’।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদগাহ মাঠের দক্ষিণ পাশে ধূসর বর্ণের পাথরে অসাধারণ নির্মাণশৈলীর মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। পুনঃসংস্কার করলে ইসলাম ধর্মাবলম্বীসহ সাধারণ দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।


জানা গেছে, মসজিদের সামনে মাঠের দৈর্ঘ্য ১‘শ ফুট ও প্রস্থ ৮০ ফুট। মসজিদটির প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে তেমন কোনো জানা তথ্য না পাওয়া গেলেও স্থাপত্য ও নির্মাণশৈলী দেখে অনুমান করা হয় এটি মুঘল আমলে তৈরি করা হয়েছিল । ৩ গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটি স্থাপত্যশিল্পের অসাধারণ নিদর্শন। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট আয়তনের এই মসজিদে ২ কাতারে ৪০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। মসজিদটির সামনে ৩টি দরজা, উত্তর এবং দক্ষিণমুখো ২টি জানালা আছে। গাঁথুনির জন্য পাতলা ইট ও টালির সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে চুন-সুরকি। মসজিদের ভেতরের দেয়ালে আঁকা আছে নানা ধরনের লতাপাতা ও ফুলের কারুকাজ। সেগুলো নষ্ট হওয়ার পথে। মসজিদের গাঁথুনির সময় চুন-সুরকির সঙ্গে ডালও মেশানো হয়েছিল বলে ধারণা অনেকের।



দিন দিন মুসল্লির সংখ্যা বাড়তে থাকায় জায়গা সংকুলন না হওয়ায় ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পুরোনো মসজিদটি ঠিক রেখে সামনের দিকে নতুন করে সংস্কার করা হয়।


দীর্ঘকাল থেকে এখানকার মানুষজন বিভিন্ন রোগ শোকে বা কাজের সফলতার জন্য এ মসজিদে মানত করে থাকে। আর সে কারণে মানত-বিশ্বাসী মানুষরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে মানত করে। মসজিদটির কোনো নাম না থাকলেও এই মসজিদটি ঘিরে এলাকার নাম করণ করা হয়েছে মসজিদের পাড়। অন্যদিকে, মসজিদটির বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ, ইমাম ও মুয়াজ্জেম এর বেতন সাপ্তাহিক শুক্রবার জুম্মার নামাজের দিন মুসল্লিদের দান ও মানতের টাকায় চলে।


ওই এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, এখনো শতশত মানুষ ছুটে আসে মসজিদের উঠানে। শুধু মুসলমান নয়, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষজনও ছুটে আসে মানত করতে।


এদিকে, পুরনো এ মসজিদে ঈদুল ফিতর ও আযহা নামাজে অসংখ্য মুসল্লি জায়গা সংকুলন না হওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ঐতিহ্য ধরে রাখাসহ সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বিবার্তা/রাফি/জামাল

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com