ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি এই দুই ক্লাব মুখোমুখি হওয়া মানেই টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ। তবে ইদানিংকালে এসে ম্যানচেস্টার ডার্বি মানেই যেন সিটির একচেটিয়া আধিপত্য। গতকালও হয়েছে তাই। যদিও ম্যাচের শুরুতেই গোলের দেখা পেয়েছিল রেড ডেভিলরা। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত দাপুটে জয়ই ছিনিয়ে নিয়েছে সিটি।
ম্যাচের শুরুতেই ইউনাইটেডকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মার্কাস রাশফোর্ড। ৮ মিনিটে ইংলিশ এই ফুটবলারের করা দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় এরিক টেন হাগের দল। সিটির মাঠে খেলতে নেমে প্রতি আক্রমণে ২৫ গজ দূরে থেকে করা রাশফোর্ডের এই গোলে স্তব্ধ হয় ইতিহাদের দর্শকরা।
এদিকে এক গোলে পিছিয়ে পড়ে সিটিও মরিয়া হয়ে খেলতে শুরু করে সমতায় ফেরার নেশায়। বেশ কয়েকবার গোল করার সুযোগও তৈরি করেছিলেন ফিল ফোডেন-রদ্রিরা। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি ম্যানইউর জমাট রক্ষণ আর গোল রক্ষক আন্দ্রে ওনানার নৈপুণ্যে।
এদিকে ম্যাচের ৪৫ মিনিটে গোল করার মোক্ষম এক সুযোগ নষ্ট করেন আর্লিং হলান্ড। ফোডেনের হেড পাস ছয় গজ দূরে পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন তিনি, উল্টো পঠিয়ে দেন ক্রসবারের উপর দিয়ে। এদিকে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করার পর দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরে সিটি। রদ্রির সহযোগীতায় নান্দনিক এক গোল করেন ফোডেন।
এদিকে সমতায় ফেরার পরও ব্জায় ছিল সিটির আধিপত্য। গার্দিওলার শিষ্যরা প্রথমার্ধে গোলের দেখা না পেলেও ১৭টি শট নিয়ে ৩টি লক্ষ্যে রেখেছিল। এছাড়া কর্ণারও আদায় করেছিল ১২টি। সমতায় ফেরার পরও একইভাবে আক্রমণের ধারা বজায় রাখে সিটি।
সিটির আক্রমণের তোড়ে একমসময় ঠিকই খেই হারায় ম্যানইউ। এই সুযোগে ম্যাচের ৮০ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন ফোডেন। এরপর ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে আরও এক গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন হলান্ড। দারুণ এই জয়ে লিভারপুলের চেয়ে ১ পয়েন্টে পিছিয়ে দুই নম্বরে আছে সিটি।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]