ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করুন: বাংলাদেশ ন্যাপ
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৬
ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করুন: বাংলাদেশ ন্যাপ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ঈদের ছুটির আগেই তৈরি পোশাকসহ সকল শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছেন যে, প্রতিবছরই ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। অধিকাংশ মালিক ঈদের আগে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করে থাকেন। আবার ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে কোনো কোনো মালিকের কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার মন্দ নজিরও আছে। এসব ক্ষেত্রে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।


৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।


তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভীত দাঁড়িয়ে আছে গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী সেক্টরে কর্মরত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক আর প্রবাসী জনশক্তির মেধা ও শ্রমের উপর। অথচ এই দুই খাতের মূল জায়গা শ্রমিক ভাই বোনেরা সব সময়ই অবহেলিত। প্রতিটি ঈদ আসলেই গার্মেন্টস কর্মীদের পাওনা বেতন ভাতার জন্য আন্দোলন করতে হয়।


ইতোমধ্যেই গাজীপুর, আশুলিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের পুলিশ দিয়ে দমনের চেষ্টা করা হয়েছে। সকল হয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে ঈদের আগে সকল গার্মেন্টস শ্রমিক ভাই বোনদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে।


নেতৃদ্বয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যর্থ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘মুক্তবাজারের নামে চলমান লুটপাট ও সিন্ডিকেটের ব্যবস্থা বহাল রেখে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এই নিয়ন্ত্রণহীন বাজার ব্যবস্থার মধ্যে শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা পরিশোধে কেন এত অবহেলা ? ঈদের ছুটির পূর্বেই শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-বোনাসের টাকা দিতে হবে। নানা অজুহাত দেখিয়ে বেতন-বোনাস থেকে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বঞ্চিত করা যাবে না।


তারা আরো বলেন, পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিক পরিবারগুলো দিশাহারা। তারা সারাদিন রোজা রাখার পর সুষম খাবার খেতে পারছে না। তাছাড়া অধিকাংশ কারখানায় এখনো শ্রমিকদের ডিউটির পরেও কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাই ঈদের ছুটির পূর্বে সব বকেয়াসহ বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে হবে।


নেতৃদ্বয় বলেন, পোশাকমালিকদের প্রভাব ও চাতুর্যে শ্রমিকরা যাতে প্রতারিত ও বঞ্চিত না হন, রাষ্ট্রকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। শ্রমিকরা সারা মাস কাজ করেছে। নিয়মানুযায়ী তাদের ক্ষতিপূরণ ও যৌক্তিক পাওনা পরিশোধ করতে হবে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতার প্রশ্নে কোনো ধরনের ওজর-আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়।


কারখানা চলমান রাখতে অন্য সব খরচই চালানো যাবে, কিন্তু শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের প্রশ্ন এলেই মালিকরা ‘অক্ষম’ হয়ে যাবেন, এটি গ্রহণযোগ্য নয়। কালক্ষেপণ না করে সরকার শ্রমিকদের নৈতিক ও বৈধ স্বার্থ নিশ্চিত করে বেতন-বোনাস প্রদানের কঠোর হবেন বলে প্রত্যাশা।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com