জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক শেষে যা বললেন খসরু
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৩, ১২:৫৯
জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক শেষে যা বললেন খসরু
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, উনি আমেরিকা যাবেন কিনা সেটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ কোথায় যাবে সেটা তাদের ব্যাপার। একটা জাতি কোথায় যাবে, না যাবে এটা কি কোনো প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? এটাতো বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।


‘২০ ঘণ্টা প্লেনে জার্নি করে আটলান্টিক মহাসাগর পার হয়ে আমেরিকায় না গেলে কিছু আসে যায় না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।


খসরু বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কোথায় তাদের ব্যবসা, পেশাগত, পারিবারিক, শিক্ষাগত বিষয়ে তারা কোথায় যাবে এবং যাবে না এটা বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী তো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।


রবিবার (৪ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।


আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বাভাবিকভাবেই জাপানের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব, আমাদের পার্টনারশিপ অনেক পুরনো। বাংলাদেশের টপ পার্টনারশিপের মধ্যে জাপান সবার উপরে। ধরতে গেলে জাপানের রিলেশনশিপ সবার উপরে।


তিনি বলেন, জাপানের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করছেন, সরকার বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রজেক্ট গুলোতে বিনিয়োগ করছে। সুতরাং জাপান বাংলাদেশের বন্ধুত্ব অনেক লম্বা। জাপান বাংলাদেশের খুবই একটি গ্রহণযোগ্য দেশ। এজন্য জাপান বাংলাদেশের রিলেশনশিপটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন জাপান থেকে প্রচুর ইনভেস্ট এসেছে, প্রচুর অবকাঠামোগত বিনিয়োগ বাংলাদেশে হয়েছে বিএনপির সময়ে।


তিনি বলেন,বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা, মানবাধিকার এগুলো নিয়ে আজকের সবার কনসার্ন রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তাদেরও কনসার্ন থাকার কথা, তারা জানতে চাচ্ছে বাংলাদেশে কী হচ্ছে? আগামী দিনে কী হতে যাচ্ছে? এটা তারা বোঝার চেষ্টা করছে। কারণ তাদের অনেক বড় বিনিয়োগ রয়েছে এখানে। প্রাইভেট সেক্টর রয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে, অবকাঠামতে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এগুলো আলোচনায় এসেছে।


আপনারা জাপানের রাষ্ট্রদূতকে কী বলেছেন, সাংবাদিকদের একম প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বাভাবিকভাবে যেটা বলার দরকার সেটাই বলেছি, কিন্তু কী বলেছে সেটা বলা যাবে না।


খসরু বলেন, বাংলাদেশে যে আজকে আইনের শাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা স্বাভাবিকভাবে এগুলোর কনসার্ট সারা বিশ্ববাসীর কাছে আছে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে রয়েছে স্বাভাবিকভাবে তাদেরও থাকার কথা। তারা তো জানতে চাচ্ছে কী হচ্ছে এবং কী হতে যাচ্ছে, আগামী দিনের বাংলাদেশে কোথায় যাচ্ছে সেটাই হচ্ছে বড় কথা। এখন বাংলাদেশ যে অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সবার মধ্যে একটি আশঙ্কা কাজ করছে। সুতরাং শঙ্কামুক্ত হওয়ার জন্য আগামী দিনের বাংলাদেশ কেমন হবে, নির্বাচনটা কী রকম হবে এগুলো সবাই জানার চেষ্টা করছেন।


বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছে। সবাই তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছে এবং চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য।


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্ব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ।


এ ছাড়া জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন- জাপান দূতাবাসের প্রথম রাজনৈতিক সচিব মিস ইগাই।


বিবার্তা/ইলিয়াস/কেআর

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com