সংবিধান বিরোধিতাকারীরা জাতীয় শত্রু: আমু
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩, ২১:৪০
সংবিধান বিরোধিতাকারীরা জাতীয় শত্রু: আমু
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, আমাদের সংবিধান নিয়ে যারা কথা বলে তারা জাতীয় শত্রু। সংবিধান নিয়ে কথা বলার বিরুদ্ধে যে আইন রয়েছে সেই আইনে তাদের কেন গ্রেফতার করা হয় না?


তিনি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব দেশের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলে সেই আইনে কেন তাদের গ্রেফতার করা হয় না? কেন তাদের সেই আইনে শাস্তি দেওয়া হয় না? এটাই আজ আমাদের জিজ্ঞাসা। সেই আইন যথাযথ প্রয়োগ করে জনগণের সামনে স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তি দেয়া হোক।


বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা ১৪ দল স্বাধীনতার পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে এবং বঙ্গবন্ধু রচিত সংবিধান পক্ষে কাজ করে আসছি। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচলভাবে জাতীয় চার মূলনীতির ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যাবো।


তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর কে ক্ষমতায় এলো? খন্দকার মোশতাক। আওয়ামী লীগ নেতা, অর্থাৎ একটা ধারণা দেয়া হলো আওয়ামী লীগপন্থিরাই ক্ষমতায় আছে। তার আড়াই মাস পর ক্ষমতায় এলো জিয়াউর রহমান। পরিচয় কি? মুক্তিযোদ্ধা। কর্মকাণ্ড কী? কর্মকাণ্ড হচ্ছে অমুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল্যবোধকে হত্যা করে এই দেশে পাকিস্তানী রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা। সেই লক্ষ্যে সেদিন ১৫ আগস্ট সংঘটিত করে এদের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।


বিএনপি কেন নির্বাচনে আসতে ভয় পায় তা স্মরণ করে দিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, সরকারে ছিল কে? ফখরুদ্দীনের পরিচয় ছিল কী? জিয়াউর রহমান কর্তৃক নিয়োজিত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিল কে? জেনারেল মতিন। পরিচয় কী? খালেদা জিয়ার সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। মঈন উদ্দিন কে? ছয় জনকে বাদ দিয়ে খালেদা জিয়া যাকে সেনাবাহিনী প্রধান করেছিলেন। সেদিন যে লোকগুলোকে নিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছে তারা ছিল বিএনপিপন্থী।


আমির হোসেন আমু বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে সামরিক সরকার যখন আছে তখন ইমিডিয়েট যে সরকার থাকে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, তাদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, তাদের সব কিছু নিয়ে আসে। আমরা গণতন্ত্র দেব–এই কথা বলে তারা আসে। কিন্তু এই সরকার যখন এলো (ফখরুদ্দীন-মঈন উদ্দিন সরকার), তারা কিন্তু তখন যে সরকার ছিল (খালেদা জিয়া) তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেনি। প্রথমে গ্রেফতার করা হলো শেখ হাসিনাকে। তিনি ছিলেন বিরোধী দলের নেতা। খালেদা জিয়াকে কিন্তু গ্রেফতার করা হয়নি। তারপর সেই বিএনপিপন্থী সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ে তারা বুঝে বিএনপি জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখাত। এরপর থেকেই তাদের নির্বাচনে এতো ভয়।


আওয়ামী লীগের মুক্তিযদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যডভোকেট মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সসভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বাংলাদেশের গনতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, গনআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গনতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হুুমায়ুন কবীর ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ সহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।


বিবার্তা/সোহেল/এনএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com