বিএনপিকে জনগণের শায়েস্তার মুখোমুখি হতে হবে: হানিফ
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:১৭
বিএনপিকে জনগণের শায়েস্তার মুখোমুখি হতে হবে: হানিফ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

‘বাহাত্তরের সংবিধান ছুড়ে ফেলতে হবে, স্বাধীন বাংলাদেশ বাই চান্স হয়েছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।


তিনি বলেছেন, বিএনপি নেতাদেরকে আহবান জানাবো এই ধরনের ধৃষ্টতা দেখানো বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। জাতির কাছে ক্ষমা চান। আর না হলে জনগণের শায়েস্তার মুখোমুখি হতে হবে। এর দায়ভার কেউ নেবে না।


সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিএনপি-জামায়াত কখনো স্বাধীনতা বিশ্বাস করেনি উল্লেখ করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জামায়াতে ইসলামী ছিলো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী অপশক্তি। মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণসহ সকল অপকর্মের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলো। আর তাদের দোসর বিএনপি নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করতো। আজকে প্রমাণ হয়েছে, তারা মনেপ্রাণে, আদর্শে কখনো স্বাধীনতার পক্ষে ছিলো না।



তিনি বলেন, বিএনপি নামক দলটি পাকিস্তানের আদর্শের অনুসারী। কিছুদিন আগে এক সামবেশ থেকে বিএনপির এক নেতা বললেন, স্বাধীন বাংলাদেশ নাকি বাই চান্স হয়েছে। অবাক হয়ে যেতে হয়। আজকের সমাবেশ থেকে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। বিএনপি নেতাদেরকে অনুরোধ করবো এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাহার করুন, জাতির কাছে ক্ষমা চান। না হলে এই দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ রাজপথে আপনাদেরকে প্রতিহত করবে, সমুচিত জবাব দেবে।


হানিফ বলেন, বিএনপির মাহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছিলেন বাংলাদেশের চেয়ে নাকি পাকিস্তান ভালো ছিলো। তার বাবা রাজাকার ছিলেন, তিনি ছিলেন স্বাধীনতাবিরোধী। এই বিএনপির বেশিরভাগ নেতাই স্বাধীনতাবিরোধী অথবা স্বাধীনতাবিরোধীর সন্তান। এরা কখনো মুক্তিযদ্ধের চেতনা, আদর্শ ধারণ করতে পারে না। এরা সবসময় পাকিস্তানের আদর্শের অনুসারী। তাদের কথায় তাই প্রমাণ হয়েছে।


তিনি বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়াও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে বক্তব্য দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন তিনিও স্বাধীনতার চেতানায় বিশ্বাসী নন। তিনিও পাকিস্তানের আদর্শের অনুসারী। তিনিও সেটা প্রমাণ করেছেন।



হানিফ বলেন, বিএনপির সমাবেশ থেকে তাদের এক নেতা বললেন, বাহাত্তরের সংবিধান ছুড়ে ফেলতে হবে। তারা এতো বড় ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস পায় কিভাবে? রাজাকারের শাবকরা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়, তাই তারা সংবিধান মানতে চায় না। বাহাত্তরের সংবিধান শুধু মূল্যবান নয়, ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে পরিচিত। আধুনিক যুগের সময়োপযোগী সংবিধান। বিএনপি নেতাদেরকে আহবান জানাবো সংবিধান নিয়ে এই ধরণের বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। জাতির কাছে ক্ষমা চান। আর না হলে জনগণের শায়েস্তার মুখোমুখি হতে হবে। এর দায়ভার কেউ নেবে না।


আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, আজকে এমন একটা সময়ে আমরা এই সমাবেশ করছি, যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের মডেলে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এক দফা কর্মসূচিতে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই সময়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত এবং নব্য রাজাকার বিএনপি উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য চক্রান্ত করে যাচ্ছে।



এ সময় তিনি যুবলীগের প্রশংসা করে বলেন, এই যুবলীগ খালেদা জিয়া, তারেকের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলো। বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের সময় শেখ হাসিনার পাশে থেকে ভ্যানগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় এনেছিলো। যুবলীগ সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য যুবলীগকে অতীতের মতো প্রস্তুত থাকতে হবে।


শান্তি সমাবেশে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মো. নবী নেওয়াজসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/সোহেল/কেআর

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com