শিরোনাম
ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহবান খন্দকার মোশাররফের
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৪৪
ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহবান খন্দকার মোশাররফের
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।


রবিবার সাউথ এশিয়া ইয়ুথ ফর পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি সোসাইটির উদ্যোগে ‘নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে তিনি এ আহবান জানান।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কেবলমাত্র আইনের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা যাবে না। ঘুনে ধরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় দলীয় সরকারের অধীনে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাস সুদীর্ঘ নয়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় অঙ্গসমূহ ঘুণে ধরা এবং দুর্নীতিগ্রস্ত। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুর্বে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের পুর্বে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বর্তমান দলীয় সরকারের পতনের আন্দোলনে সকলকে রাজপথে নামতে হবে।


মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশের জনসাধারণ যেভাবে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে চান তা কখনোই বর্তমান আওয়ামী সরকারের দ্বারা পুরণ হবে না। এই বিষয়ের সমাধান রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। তিনি আরও বলেন নির্বাচনে প্রযুক্তি অসচেতনমুলক ভোটারদের জন্য ই ভি এম ব্যবস্থা একেবারেই অনুপযুক্ত।


বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন ঠুটো জগন্নাথের
মত আচরণ করছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া নির্বাচনগুলোয় হওয়া ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি ব্যর্থ ভুমিকা পালন করেছে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য করা সার্চ কমিটি একটি প্রহসন মাত্র, যার মাধ্যমে মুলত সরকার দলের পছন্দের লোকজন কমিটিতে জায়গা পান।


তিনি বলেন, নৈতিক চরিত্রসম্পন্ন মানুষের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে এই সকল অসঙ্গতি দূর করা সম্ভব। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ করার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনারবৃন্দ কারা হবেন তা সাংবিধানিকভাবে সংসদে পাশ হতে হবে। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের জন্য যে আইন আছে, বর্তমান দলীয় সরকারের আজ্ঞাবহ এই নির্বাচন কমিশন সে আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ এবং পালন করতে পারছে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভ্যাকসিন হল নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশন।


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার তার আলোচনায় বলেন, বাংলাদেশের বয়স ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রিক কোনো পূর্ণাঙ্গ আইন নেই। এই আইন না থাকার কারণে বাংলাদশে বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন দলসমূহ এই কমিশনকে প্রভাবান্বিত করার সুযোগ পেয়েছে। পুর্বের নির্বাচন কমিশনসমূহ তাদের হাতে থাকা আইনি ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, টেকসই গণতন্ত্রের জন্য সৎ, নিষ্ঠাবান, দেশপ্রেমিক এবং আন্তরিক লোকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। পাশাপাশি ইলেকশন কমিশনের মত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও বাংলাদেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের ধারা ফিরিয়ে আনতে তরুণ সমাজকে সচেতন হতে হবে।


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সাজ্জাদুল হকের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহবাংক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।


বিবার্তা/বিপ্লব/আরকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com