শিরোনাম
শেখ হাসিনা আলোকবর্তিকা হয়ে দেশে এসেছিলেন: বাহাউদ্দিন নাছিম
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২১, ১৮:০১
শেখ হাসিনা আলোকবর্তিকা হয়ে দেশে এসেছিলেন: বাহাউদ্দিন নাছিম
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

১৯৮১ সালের ১৭ মে ঐক্য ও আদর্শের আলোকবর্তিকা হয়ে শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।


সোমবার (১৭ মে) শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজ থেকে ৪০ বছর আগে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে ভয়াবহ দুর্দশা ছিলো। দেশে কোন গণতন্ত্র ছিলো না। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো, ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিলো। এদুটি ঘটনা একই ঘটনার ধারাবাহিক। তখন দেশ ও আওয়ামী লীগও করুন অবস্থায় ছিলো। তখন ঐক্যের প্রতীক হিসেবে, আদর্শের প্রতীক হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়। সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা আলোর দিশারি হয়ে দেশে আসেন। তিনি এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের মানুষকে জাগরিত করেছেন, ঐক্যবদ্ধ করেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে না আসলে আমরা এপর্যায়ে আসতে পারতাম না। সেদিন তিনি দেশে আসায় আমরা স্বপ্ন দেখতে পেরেছি। শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য।


তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি হওয়ার পরও খুনি, একনায়ক জিয়াউর রহমান তাকে দেশে আসতে বারণ করেছিলো। তিনি সেদিন নিজ বাড়িতে উঠতে পারেননি, আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছিলেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন, আমি সর্বহারা, আমি আপনাদের জন্য, দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করলাম। তাকে এপর্যন্ত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে দেশকে ভালোবেসে, মানুষকে ভালোবেসে জাতির পিতার স্বপ্নের গণতান্ত্রিক উন্নত সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য দেশে এসেছিলেন, দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।


বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই জাতির পিতার হত্যার বিচার করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশে যেমন মহাত্মা গান্ধী হত্যার সঠিক বিচার হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা খুনিদের সাথে আপোষ করেননি। বিচার না হলে আমরা কলঙ্কিত জাতি হয়ে থাকতাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের সেই কলঙ্ক থেকে মুক্ত করেছে।


তিনি বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন সোনার বাংলাদেশ গড়তে সোনার মানুষ চাই। আমরা সোনার মানুষ হওয়ার চেষ্টা করতে পারি। দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে আসুন আমরা নিজেদের উৎসর্গ করি। শেখ হাসিনা ১৭ মে যেভাবে দেশকে ভালোবেসে, মানুষকে ভালোবেসে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন আসুন আমরাও তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের উৎসর্গ করি।


বাহাউদ্দিন নাছিম আরো বলেন, ১৯৭৫ এর পর কেউ কেউ বলতো রাজাকার - যুদ্ধাপরাধী বলে ভাগাভাগি করার কি দরকার। একথা বলে তারা অপরাধীদের বিচার রুখতে চেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু কন্যা আপোষ না করে বঙ্গবন্ধুর করে যাওয়া আইনেই তাদের বিচার করেছেন। যারা দেশ বিরোধী, সাম্প্রদায়িক চেতনার অপরাজনীতি করে, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। সেকারণেই যুদ্ধপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে। আজ যারা ধর্মব্যবসায়ী তাদেরও মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের এদেশে স্থান নেই। তারা চাইলে পাকিস্তানে যেয়ে পাকিস্তানের রাজনীতি করুক। আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে গড়ে তুলবো।


তিনি বলেন, দলের দুর্দিনে কেউ কেউ পিছিয়ে যায়। ২০০১ সালে বয়স হয়েছে, বাকি কটা দিন শান্তিতে থাকতে চাই এসব কথা বলে অনেকেই রাজনীতি থেকে দূরে ছিলো। দলের দুর্দিনে তারা পালিয়ে যায়। আমরা সুদিনের নেতা চাই না। আগাছা আসলে, হাইব্রিড আসলে আমরা উপড়ে ফেলে দেবো।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, ম আব্দুর রাজ্জাক, কাজী শহীদুল্লাহ লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা, আব্দুল্লাহ আল সায়েম, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন সহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণে নেতৃবৃন্দ।


বিবার্তা/বিপ্লব/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com