পর্যটকদের সে সুবিধা করে দিতেই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক প্রকাশ করেছে ২০২৫ সালে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বিশ্বের সেরা ২৫টি স্থানের নাম।
এই তালিকায় আছে মালেশিয়ার বিলাসবহুল ট্রেনযাত্রা থেকে গুয়াতেমালার সক্রিয় আগ্নেয়গিরিতে হাইকিংয়ের পরামর্শও। চলুন, জেনে নিই বিশ্বসেরা এই ২৫টি স্থান সম্পর্কে।
১. অ্যান্টিগুয়া, গুয়াতেমালা
গুয়াতেমালা অ্যান্টিগুয়া বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি হিসেবে পরিচিত। কফিবাগানের মধ্যে দিয়ে হাইকিং কিংবা পাহাড়ের চূড়ায় বসে মেঘের ভেলা দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ঐতিহ্যের শহর অ্যান্টিগুয়া থেকে।
২. ওকালা ন্যাশনাল ফরেস্ট, ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র
হ্রদ, জলপ্রপাত, ম্যানটিস, কালো ভালুক ও বিরল প্রজাতির গাছপালার জন্য বিখ্যাত ফ্লোরিডার ওকালা। বন্য পরিবেশের পাশাপাশি ওকালা জাতীয় উদ্যানে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য আছে মাছ ধরার ব্যবস্থাও।
৩. ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
নতুন ও পুরোনোর দারুণ এক মিশ্রণ আছে ব্যাংকক শহরে। যদিও থাইল্যান্ডের রাজধানীর আলোঝলমলে দিকটির সঙ্গেই আমরা বেশি পরিচিত। তবে ব্যাংককের আছে বেশ কিছু মনোমুগ্ধকর স্থাপত্য, পুরোনো মন্দির ও স্মৃতিস্তম্ভ।
৪. রাজা আমপাট দীপপুঞ্জ, ইন্দোনেশিয়া
সমুদ্রের তলদেশের বিচিত্র ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্রকে কাছে থেকে দেখতে চাইলে ডুব দিতে পারেন রাজা আমপাট দীপপুঞ্জে। এই দীপপুঞ্জে আছে প্রায় ৫০০ ধরনের প্রবাল এবং হাজারের বেশি কোরাল রিফ মাছ। সংরক্ষণকারীদের তৎপরতায় ফিরে আসছে হাঙরও।
৫. গুয়াদালাহারা, মেক্সিকো
মারিয়াচির সুরের সঙ্গে তাল মেলাতে চাইলে যেতে হবে গুয়াদালাহারায়। সেখানেই প্রতিবছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে আঠারো শতকে উদ্ভূত মেক্সিকান এই সংগীতের আসর বসে।
৬. সেনোবিটিক মন্যাসটিসিজম, ইতালি
ইতালির উপদ্বীপে সন্ন্যাসীরা বরাবরই খুব সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। সন্ন্যাসজীবনের আধ্যাত্মিকতাকে খুব কাছে থেকে দেখা যায় সেনেবিটিক মন্যাসটিসিজমে। এখানকার সন্ন্যাসীরা সব ধর্মের দর্শনার্থীদেরই সাদরে গ্রহণ করেন।
৭. লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
নতুনভাবে শিল্পের ছোঁয়া লেগেছে লস অ্যাঞ্জেলেসে। যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ ব্ল্যাক আর্ট প্রোগ্রামে কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পীদের আঁকা ১.৩ মাইল প্রসারিত দেয়ালের দেখা মিলবে এখানে।
৮. গ্রিনল্যান্ড
নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হওয়ায় এখন সহজে প্রবেশ করা যায় বরফে আবদ্ধ গ্রিনল্যান্ডে। অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যে ঘেরা এই দ্বীপে গিয়ে হতে পারে আদিবাসী ইনুইট জাতির সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা।
৯. কানাজাওয়া, জাপান
কোনো রকম ভিড় ছাড়া জাপানি সংস্কৃতি ও খাদ্যের স্বাদ পেতে যেতে পারেন কিয়োটো থেকে দুই ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত কানাজাওয়াতে। এ শহরে রয়েছে অনেক পরিপাটি বাগান।
১০. ইস্টার্ন ও ওরিয়েন্টাল এক্সপ্রেস, মালেশিয়া
মহামারির কারণে চার বছরের বিরতির পর আবারও চালু হয়েছে মালেশিয়ার বিলাসবহুল ট্রেন ইস্টার্ন অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল এক্সপ্রেস। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করা যায় এই ট্রেনে।
১১. ব্রাসোভ, রোমানিয়া
প্রাচীন বনভূমি, গ্রামীণ জীবন আর পাহাড়চূড়ার দেশ ব্রাসোভ। হাইকিংয়ের জন্য এখানে আছে ৮৭০ মাইল পথ।
১২. সেরাডো, ব্রাজিল
সেরাডোতে আছে ৮৫০ প্রজাতির পাখি এবং প্রায় ১২ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ। এ ছাড়া সেরাডোতে গিয়ে চাইলে গাইডের সঙ্গে বেরিয়ে পড়তে পারেন নেকড়ের সন্ধানে।
১৩. নর্থল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
বিরল বন্য প্রাণীর দেখা পেতে চাইলে যেতে হবে নিউজিল্যান্ডের নর্থল্যান্ডে। শুধু তা-ই নয়, সমুদ্রের বুকে চমৎকার ডাইভিংয়ের ব্যবস্থাও আছে এখানে।
১৪. সেনেগাল
ভোজনরসিক পর্যটকদের জন্য সেনেগাল একটি চমৎকার জায়গা। এই দেশের খাবারে আছে পশ্চিম আফ্রিকান ও ফরাসি প্রভাবের মিশ্রণ।
১৫. হাইদা গোয়াই, ব্রিটিশ কলম্বিয়া
হাইদা ঐতিহ্যকে কাছ থেকে দেখতে চাইলে যেতে হবে ব্রিটিশ কলম্বিয়ায়। এ ছাড়া এখানে আছে তিমি ও ডলফিন দেখার সুযোগ।
১৬. বারবাডোজ
ক্রীতদাস–বাণিজ্যে নতুন একটি দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয় বারবাডোজে গেলে। ক্রীতদাস প্রথা স্মরণে এখানে রয়েছে একটি স্মৃতিসৌধ।
১৭. সুরু উপত্যকা, ভারত
আপনার যদি উচ্চতাভীতি না থাকে, তাহলে এই পর্যটন স্থানটি আপনার জন্য। প্রতিবছর আগস্ট–সেপ্টেম্বর মাসে সারা বিশ্ব থেকে পর্বতারোহীরা এসে জড়ো হন এখানে।
১৮. বইজি, আইডাহো, যুক্তরাষ্ট্র
উনিশ শতকের শেষের দিকে ভেড়া পালনের জন্য বাস্ক জাতির মানুষ এসেছিল বইজি নামক এলাকায়। ১০ বছর পর বাস্ক সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে।
১৯. আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত
আবুধাবির সংস্কৃতির কেন্দ্র হতে যাচ্ছে সাদিয়াত দ্বীপে নির্মাণাধীন সাদিয়াত সাংস্কৃতিক এলাকা। যার নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৫ সালে।
২০. মারি নদী, অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার কৃষিপ্রধান এলাকার পাশ দিয়ে জলপথে ভ্রমণ করতে চাইলে যেতে হবে মারি নদী ধরে। যাত্রাপথে নদীর ধারে বারবিকিউয়ের স্বাদও নিতে পারবেন।
২১. কোয়াজুলু-নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
এখন সাফারি করার জন্য নতুন একটি জায়গা কোয়াজুলু-নাটাল। অতিথিরা চাইলে এখানকার গেম ড্রাইভিংয়েও অংশ নিতে পারেন।
২২. স্টকহোম আর্কিপেলাগো, সুইডেন
সুইডেনের স্টকহোমে প্রায় ৩০ হাজার দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই দ্বীপগুলোয় যাওয়ার সেরা সময় গ্রীষ্মের শেষ ও শরতের প্রথম দিকে।
২৩. কর্ক, আয়ারল্যান্ড
একটি নতুন শহরের জেগে ওঠার সাক্ষী হতে চাইলে যেতে হবে আয়ারল্যান্ডে। সেখানে নির্মিত হচ্ছে কর্ক সিটি নামে একটি নতুন শহর, যা তৈরিতে ব্যয় হবে ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২৪. আউটার হিব্রাইডস, স্কটল্যান্ড
স্কটল্যান্ডের চিরায়ত সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চাইলে যেতে হবে আউটার হিব্রাডাইসে। রুপালি সৈকতের জন্য বিখ্যাত এখানকার দ্বীপগুলো।
২৫. তিউনিসিয়া
রোমান সাম্রাজ্যের ধ্বংসের ইতিহাস তো আমরা অনেক শুনেছি। এই সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ দেখতে হলে যেতে হবে তিউনিসিয়ায়।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]