সৌন্দর্য ও সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্যময় নেপাল ভ্রমণে সেরা গন্তব্য
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:২৬
সৌন্দর্য ও সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্যময় নেপাল ভ্রমণে সেরা গন্তব্য
পর্যটন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

দক্ষিণ এশিয়ায় চীন এবং ভারতের মধ্যবর্তী হিমালয়ের পর্বতমালার ধারে অবস্থিত নেপাল। তুষারে ঢাকা পর্বতের থেকে শুরু করে উপক্রান্তীয় বা গ্রীষ্মমন্ডলীয় আর্দ্র পাহাড়ী বন ও এই দেশের বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও বিখ্যাত।


নেপালের সংস্কৃতি অনেক বৈচিত্র্যময়। শতাব্দী প্রাচীন মন্দির এবং উপাসনালয়গুলোর রঙিন উৎসবের প্রাচুর্যের জন্যও জনপ্রিয় এই দেশ। নেপাল ঘুরে দেখার জন্য সেরা জায়গাগুলো হলো-


১. কাঠমান্ডু


কাঠমান্ডু নেপালের রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী যেখানে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বসবাস করে। নেপাল ভ্রমণের জন্য প্রথমে কাঠমান্ডুতেই আসতে হবে। পাহাড়, বন, ঐতিহ্য, বানিজ্য এবং আরকিটেকচারাল নিদর্শনের জন্য কাঠমান্ডু একবার হলেও ভ্রমণ করা উচিত। কাঠমান্ডু শহরের পশ্চিম পাহাড়ের চূড়ায় স্বয়ম্ভূনাথ মন্দির অবস্থিত। অন্যদিকে থামেল হলো পর্যটকদের প্রাণকেন্দ্র। অজস্র হোটেল, সুভেনিয়ারের দোকান আর রেস্টুরেন্ট এখানের মূল আকর্ষণ।


২. অন্নপূর্ণা সার্কিট


নেপালের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত অন্নপূর্ণা সার্কিট হাইকারদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ। এই ট্রেকটি চারটি অঞ্চলের ভিতরে দিয়ে গিয়েছে- লামজুং, মানাং, মুসতাং এবং মায়াগদি। এখানকার গ্রামের অধিবাসীরা অধিকাংশই পর্বতের ঢালে জুম চাষ করে। অন্নপূর্ণা পর্বতসারির পাশ দিয়ে চলে যাওয়া এই ট্রেকটি ট্রেকারদের জন্য স্বর্গও বলা হয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক কালের অব্যহত সড়ক নির্মাণ এই ট্রেকের প্রাকৃতিক এবং নৈসর্গিক সৌন্দর্য ক্ষুন্ন করছে। পোখারার ঠিক পূর্ব দিক থেকে শুরু করে ট্রেকিং শেষ করতে প্রায় তিন সপ্তাহ সময় লাগে। যদিও অনেক ট্রেকাররা জোমসম বিমানবন্দর থেকে নেমে বাকি অর্ধেক পথ হেঁটে যায়।


৩. পোখরা


পোখরা নেপালের দ্বিতীয় বড় শহর যা কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পোখরা শহরকে নেপালের ভূস্বর্গ বা নেপালের রানি বলা হয়। এর শান্ত হ্রদ, সবুজ উপকূলীয়রেখা এবং পর্বতের জন্য পোখরা বিখ্যাত। পোখরা নেপালের উত্তর-পশ্চিম দিকে হওয়ায় এটি অন্নপূর্ণা সার্কিটের প্রবেশদ্বার হিসেবেও পরিচিত। পোখারার তিনটি হ্রদের মধ্যে বৃহত্তম হ্রদ হলো ফেওয়া লেক। যার পাশেই রয়েছে অনেক বিলাসবহুল হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং সারিবদ্ধ দোকান।


৪. খুম্বু


মাউন্ট এভারেস্টের পাশ দিয়ে উঠতে নেপালের দিকে যেতে যে পথটি রয়েছে সেখানেই অবস্থিত জনপ্রিয় এবং বিপজ্জনক খুম্বু তুষারপ্রপাত। খুম্বু তুষারপ্রপাতকে এভারেস্টের বুকে নদী বা হিমবাহ বলা যায়। প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ পথ সাধারণত রাতে বা ভোর বেলায় পার করে থাকে পর্বতারোহীরা। আলো কমে গেলে পর্বতারোহীরা চলাচলের জন্য হেলমেটে লাগানো হেডল্যাম্প ব্যবহার করে। বলাই বাহুল্য যে, অন্ধকারের বুক চিড়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতে এভাবেই পর্বতারোহীরা আহরণ করে থাকে।


৫. নাগরকোট


ভ্রমণকারীদের মধ্যে যারা কঠোর শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই হিমালয়ের সৌন্দর্য এবং মহিমা উপভোগ করতে চান, তারা নাগারকোট পাহাড় এবং কাঠমান্ডু উপত্যকার সুদর্শনীয় দৃশ্য দেখতে পারেন। ভক্তপুরের উত্তর-পূর্বে একটি উঁচু পাহাড় অবস্থিত, যেখানে রয়েছে প্রায় ৪,৫০০ জন বাসিন্দার বাসস্থান। এই গ্রাম থেকে হিমালয়ের আটটি পর্বতমালার মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। নাগারকোটে সব রেঞ্জের বিভিন্ন আকর্ষণীয় হোটেল রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো হোটেলই নাগারকোট ভিউ টাওয়ারের হাঁটার দূরত্বের মধ্যেই আছে, যেখান থেকে হিমালয়ের উপরের সূর্যোদয় দেখা যায়। এই কারণেও নাগরকোট নেপালের অন্যতম সেরা জায়গার মধ্যে অন্যতম।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com