
সমতলে দিনের বেলা কাঠফাটা রোদ। তবে পাহাড়ের ছবিটা এখন কিন্তু বেশ মনোরম। এখনও সেভাবে একটানা ঝেঁপে বৃষ্টি হয়নি পাহাড়ে। সামনেই স্কুলের গরমের ছুটি, আসছে ঈদও। পরিবার নিয়ে বেড়িয়ে পড়তে পারেন পাহাড়ের পথে।
ফুরুনগাঁও। আগে কোনদিন নাম শুনেছেন? কালিম্পংয়ের অফবিট ডেস্টিনেশন। পাহাড়ের ৪৫০০ ফুট উচ্চতায় ছোট্ট নির্জন সুন্দর গ্রাম। হাতেগোনা কয়েকটা পরিবারের বাস।
ভারত ভ্রমণের অন্যতম গন্তব্য দার্জিলিং-কার্শিয়াং-কালিম্পংয়ে তো অনেক যাওয়া হলো। এখন পর্যটকদের বেশি টানছে অফবিট ডেস্টিনেশন। বেশ কয়েক বছর ধরে পর্যটনে অফবিট ডেস্টিনেশনের চাহিদা বেড়েছে। সবাই নতুন জায়গায় ঘুরতে ভালবাসেন।
তাই নতুন নতুন জায়গার খোঁজ করেন তারা। আজ এমন একটি নতুন জায়গার কথা বলব যা সারা বছরই আরামদায়ক। তবে গরমের সময় বিশেষ করে এয়ার কন্ডিশন ফিলিং দেবে। সঙ্গে বাড়তি পাওনা ময়ুরের দর্শন।
ফুরুনগাঁওয়ে প্রকৃতি যেন সবটুকু উজার করে দিয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা সকলেই ভুটিয়া। তাঁদের একমাত্র পেশা চাষবাস। গ্রামেই ধাপ কেটে চাষ করেন তারা। ধান থেকে শুরু করে এলাচ, স্কোয়াশ সব রকম সবজির চাষ করে তারা। সেটাও অরগ্যানিক পদ্ধতিতে। এখানে সারা বছর প্রচুর পাখি ভিড় করে। এখানে থাকলে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়লে দেখতে পাবেন, দলে দলে ময়ুর ঘুরে বেড়াচ্ছে গ্রামের চারিদিকে। কেউ কিচ্ছু বলে না।
ময়ুর ছাড়াও পার্পল সানবার্ড, বার্ন সোয়ালোদের, বি হিটারদের দেখতে পাবেন। পাখিপ্রেমি তো বটেই, সাধারণ পর্যটকদেরও মন ভাল করে দেওয়ার মতো দৃশ্য।
সবুজ পাহাড়ের ধাপ কেটে ধান-গম-ভুট্টা চাষ হয় অল্প পরিমাণে। আর সেই ফসল খেতে সকাল সকাল হাজির হয় ময়ুরের দল। সূর্য ভাল করে ওঠার আগেই ময়ুরের দল ভিড় করে এখানে। এবারের গরমের ছুটিতে তাই ডেস্টিনেশন হোক তাই অফবিট ফুরুন গাঁওয়ে।
প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি দু'দণ্ড শান্তির জায়গা। কালিম্পংয়ের খুব কাছে এই অফবিট ট্যুরিস্ট স্পটটি। এখনো সেভাবে মানচিত্রে জায়গা করে নেয়নি। ফলে হট্টগোলের পরিবেশ একেবারেই নেই।
যা যা দেখবেন
এখান থেকেই কালিম্পংয়ের অনেক জায়গা ঘুরে নিতে পারবেন। এখান থেকে জলসা, ইচেগাঁও, রেসিখোলা ঘুরে দেখতে পারবেন। আবার রংপো, রোলেফ, রংলি খুব কাছেই। রাতের দৃশ্যও দারুণ। এখান থেকে কালিম্পংকে অসাধারণ দেখতে লাগে।
যেভাবে যাবেন
ফুরুনগাঁও যেতে হলে এনজেপি থেকে প্রথমে কালিম্পং আসতে হবে। সেখান থেকে গাড়িতে মুংসুং হয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় ফুরুন গাঁওয়ে। মুংসুং থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে ফুরুন গাঁও। এখানে থাকার জায়গা বলতে হোমস্টে। এখানে কোনো হোটেল নেই। কালিম্পং থেকে ফুরুন গাঁওয়ের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]