বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব নতুন চারটি ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। ‘সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন বা ইকো ট্যুরিজম সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে।
নতুন করে তৈরি হতে যাওয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রগুলো হচ্ছে সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী এবং শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক। নতুন এ চারটি ট্যুরিজম কেন্দ্র হলে পর্যটকদের ভ্রমণে আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করছেন ট্যুরিস্ট ব্যবসায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটক আকর্ষণে সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন সুবিধা বাড়াতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে চারটি ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে ট্যুর অপারেটর অ্যাসাসিয়েশন অব সুন্দরবনের সভাপতি মো. মঈনুল হোসেন বলেন, এখানে পর্যটন কেন্দ্র বাড়ায় পর্যটকদের বন দেখার সুযোগ বাড়ছে। বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণের মধ্যে নিরিবিলি পরিবেশে বনের সৌন্দর্য অবলোকনের সুযোগ সৃষ্টি হবে নতুন এসব কেন্দ্রে। এতে পর্যটক যেমন বাড়বে, তেমনি বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যও।
আর খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক, শরণখোলা উপজেলার আলীবান্ধা, খুলনার কালাবগী ও শেখেরটেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো হচ্ছে। এসব কাজ শেষ হলে দর্শনার্থীরা বনের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এতে বাড়বে সরকারের রাজস্বও।
এদিকে ২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পে সাতটি ফাইবার বডি ট্রলার, তিনটি পন্টুন ও গ্যাংওয়ে, তিন কিলোমিটার আরসিসি সড়কসহ ১০টি পথনির্দেশনা তৈরি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৭০ শতাংশ অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।
এছাড়া নতুন এ চারটি কেন্দ্র ছাড়াও সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য বর্তমানে করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলার চর, হিরণ পয়েন্ট ও কলাগাছী নামক সাতটি স্পট নির্ধারিত রয়েছে। গড়ে প্রতি বছর দুই লাখের বেশি পর্যটক সুন্দরবনে আসেন।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]