ড. ইমতিয়াজ আহমেদের বইয়ে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণহত্যা সম্পর্কে অসত্য, বিকৃত ও উদ্ভট তথ্য উপস্থাপনের নিন্দা প্রকাশ ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে। পরিষদের পক্ষে যৌথভাবে এই বিবৃতি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
বিবৃতিতে বলা হয়- ড. ইমতিয়াজ আহমেদ তার লেখা বইতে (Historicizing 1971 Genocide : State Versus Person) উল্লেখ করেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাকি একাত্তরের ৭ মার্চের ভাষণ শেষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরিচালিত গণহত্যাকে নাকি ‘গণহত্যা’ বলা যাবে না এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের সংখ্যা নিয়েও ড. ইমতিয়াজ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও অধ্যাপক আ ব ম ফারুক উল্লেখ করেন, ড. ইমতিয়াজ জাতির পিতার দীর্ঘ সংগ্রাম, ৭ মার্চের ভাষণ, মহান মুক্তি সংগ্রাম, গণহত্যা ইত্যাদি নিয়ে প্রশংসাসূচক কিছু সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও মন্তব্য করলেও পাশাপাশি এগুলো নিয়ে তিনি বেশ কিছু তির্যক, বিকৃত, অসত্য ও জাতীয় ইতিহাসের জন্য ক্ষতিকর মন্তব্য করেছেন যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। যেমন, একাত্তরের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক বক্তৃতার সমাপ্তিতে বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’র সাথে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন বলে দাবি করেছেন ড. ইমতিয়াজ। তিনি নাকি নিজের কানেই শুনেছেন। তাছাড়া ‘জয় পাকিস্তান’ বলার পেছনে যুক্তিও দেখিয়েছেন। একাত্তরে গণহত্যার বিস্তৃত অনুসন্ধান প্রয়োজন তা তিনি স্বীকার করেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ তুলেছেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]