শিরোনাম
টানা ৬৭ বছর গোসল করেননি তিনি!
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১১:০৩
টানা ৬৭ বছর গোসল করেননি তিনি!
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

একটানা কত দিন গোসল না করে থাকতে পারবেন? এক-দু’দিন হয়তো বা তিন-চার দিন! উত্তরটা ‘হ্যাঁ’ হলে ইরানের এক বৃদ্ধের কাছে গো-হারা হেরে গেলেন।


ইরানের ওই বৃদ্ধ নাকি টানা ৬৭ বছর ধরে গোসলের পানি গায়ে ঢালেননি। সে দেশের সংবাদমাধ্যমে তার এহেন ‘কীর্তি’ জেনে অনেকেরই চোখ কপালে। তাদের প্রশ্ন, তবে কি এই বৃদ্ধই দুনিয়ার সবচেয়ে ‘নোংরা, অপরিষ্কার’ ব্যক্তি?


তেহরান টাইমস নামে ইরানের একটি দৈনিক সংবাদপত্রের দাবি, কেরমানশাহ প্রদেশের দেজগাহ গ্রামের বাসিন্দা আমো হাজি গোসলখানায় ঢোকেননি প্রায় সাত দশক।


কেন গোসলখানায় ঢুকে আর পাঁচটা মানুষের মতো গোসল করেন না? গায়ে ধুলোবালি, কাদামাখা ৮৭ বছরের হাজির স্বীকারোক্তি, পানি দেখলে ভয় হয়। মনে হয় গোসল করলেই অসুস্থ হয়ে পড়ব!


বছরের পর বছর ধরে গোসল বাদ রাখার নিট ফল? সুস্থ রয়েছেন ওই বৃদ্ধ? হাজির কাহিনি শুনে অনেকেই সে প্রশ্ন তুলেছেন। ইরানের সংবাদমাধ্যমের দাবি, দিব্যি রয়েছেন বৃদ্ধ! তবে গায়েমাথায় নিয়মিত সাবান-শ্যাম্পুর ঘষামাজা না হওয়ায় একটু অন্য রকমের ‘রূপ’ হয়েছে তার।


এত বছর ধরে সাবান-শ্যাম্পুর ছোঁয়া না পেয়ে হাজির চেহারার মাধুর্য বেশ হারিয়েছে। তার ‘রূপ’ দেখে অনেকেই বলছেন, বৃদ্ধ যেন বাইবেলের পাতা থেকে উঠে আসা চরিত্রের মতো দেখতে হয়ে গেছেন। ঠিক যেন রান্নাঘরের চিমনি বেয়ে নেমে আসা মোজেস। তেমনই গোঁফদাড়িতে ঢাকা গোটা মুখ। অর্ধেক টাকমাথায় উস্কোখুস্কো চুল। গায়েমাথায় ছাইমাখা, নোংরা!


গোঁফদাড়ি বড় হলে নাপিতের কাছে দৌডান না বৃদ্ধ। বরং আগুন জ্বালিয়ে তাতে মুখটা এগিয়ে দেন। গোঁফদাড়ি আপনা থেকেই ‘ট্রিম’ হয়ে যায়।


হাজির জীবনযাত্রা নিয়ে এখনই আবার বাঁকা মন্তব্য করতে শুরু করে দেবেন না যেন! স্নান না করা বা অপরিচ্ছন্ন থাকা ছাড়াও তার খাদ্যাভ্যাসও বেশ ‘উদ্ভট’ মনে হতে পারে। হাজির খাবারদাবারে হামেশাই মৃত পশুপ্রাণীর পচা মাংস থাকে। বিশেষ করে সজারুর মাংস বেশ জমিয়ে খান তিনি। আর নেশা বলতে ধূমপান। তবে তামাক খেতে একেবারেই পছন্দ করেন না। বরং পশুর মল শুকিয়ে ফুটিফাটা পাইপে ঢুকিয়ে তাতে সুখটান দেন হাজি।


গোসলে ভয় থাকতে পারে। তবে ভাববেন না, পানি পান করেন না হাজি! মরচেধরা টিনের ক্যান থেকে প্রতি দিন পাঁচ লিটার পানি ঢক ঢক করে গিলে ফেলেন তিনি।


সাজপোশাকেও সতন্ত্র হাজি। যেন যুদ্ধে যাচ্ছেন, এমন হেলমেট মাথায়। তবে যুদ্ধে নয়, ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতেই এমন সাজ।
সাজপোশাক বা খাবারদাবারের মতোই হাজির থাকার জায়গাও কম অভিনব নয়। যেন কবরখানায় ঢুকছেন, এমন গর্তে থাকেন তিনি। বসবাসের আরও একটা জায়গা রয়েছে তার। বৃদ্ধের থাকার জন্য ইটের সারি দিয়ে খোলা ছাউনি গড়ে দিয়েছেন গ্রামবাসী।


হাজির জীবনযাপন একটু ‘আলাদা’ মনে হচ্ছে? ইরানের সংবাদমাধ্যমের দাবি, যৌবনে মনে ব্যথা পাওয়ার পর থেকেই জনশূন্য জায়গায় বসবাস শুরু করেন তিনি। নিজের যাপনও বদলে ফেলেন বৃদ্ধ!


বিবার্তা/বিএম

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com