আলিফ হত্যাকাণ্ডে চন্দন ৭, রিপন ৫ দিনের রিমাণ্ডে
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:২৭
আলিফ হত্যাকাণ্ডে চন্দন ৭, রিপন ৫ দিনের রিমাণ্ডে
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রধান আসামি চন্দন দাসের ৭ দিন এবং রিপন দাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।


এর আগে, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল থেকেই পুরো আদালত চত্বর ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


সরেজমিনে দেখা গেছে, আদালত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করার পর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আদালত ভবনে স্লোগান দিতে থাকেন অন্যান্য সাধারণ আইনজীবীরা। এ সময় তারা হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনকেও নিষিদ্ধের দাবি জানান।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।


এছাড়াও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা থেকে আলিফ হত্যার তদন্তে প্রাপ্ত আরেক আসামি রিপন দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


পুলিশ বলছে, আইনজীবী হত্যার ওই ভাইরাল ভিডিওতে কমলা রঙের টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত চন্দন (৩৫) ছুরি হাতে সাইফুলকে কোপ দিচ্ছিলেন। চন্দনের মাথায় ছিল হেলমেট। আর রিপনকে ফুটেজে নীল রঙের গেঞ্জি হাতে বটি নিয়ে দেখা গেছে। তবে তিনি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি নন। এ পর্যন্ত চাঞ্চল্যকর এই হত্যায় জড়িত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।


উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।


এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিনঘন্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে দুর্বত্তরা।


এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয় মামলায় গ্রেফতার হন ৪০ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার রয়েছেন ১০ জন।


বিবার্তা/এনএইচ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com