ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ, চিকনগুনিয়া-জিকাও বাড়াচ্ছে আতঙ্ক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫
ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ, চিকনগুনিয়া-জিকাও বাড়াচ্ছে আতঙ্ক
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ডিসেম্বরের শীতের আবহের মধ্যেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেশি থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শীতকালেও এর উপস্থিতি অনেক। শীত চলে এলেও এবার এখনো প্রতিদিন শত শত মানুষ ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হচ্ছেন। ঘটছে প্রাণহানিও। গত এক মাসে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে। ডেঙ্গু সংক্রমণে মধ্যেই চিকনগুনিয়া এবং জিকা ভাইরাসের সংক্রমণও কিছুটা বেড়েছে, যা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।



গত ২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ডেঙ্গুর পাশাপাশি দেশে চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে দেশে চলতি বছর চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৭ জন এবং জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১১ জন। এছাড়া জিকা ও চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুহার বেশ কম, তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।



গত মৌসুমের চেয়ে এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী এবং মৃতের সংখ্যা কম। গত বছর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ জন এবং মারা গেছে ১ হাজার ৫৭৫ জন। চলতি বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ৮৮ হাজার ৮১৮ জন এবং মারা গেছে ৪৩৯ জন। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, ডিসেম্বরে ডেঙ্গু রোগী আরও কিছুটা কমে আসবে। যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন তারা।


সাধারণত বর্ষা মৌসুমকে ধরা হতো ডেঙ্গুর প্রকোপের সময়কাল হিসেবে। কিন্তু এখন সারা বছরই পাওয়া যায় ডেঙ্গু রোগী। তবে গেলো বছর ডেঙ্গুর সবচেয়ে বেশি প্রকোপ ছিল জুলাই থেকে নভেম্বরে। এসময়ের মধ্যে ৩ লাখেরও বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তবে চলতি বছর সেই সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় ৮৯ হাজারে। অর্থাৎ গত বছরের এই সময়ের চেয়ে এবার রোগী প্রায় ৭০ শতাংশ কম।


বাংলাদেশ, ভারত, ব্রাজিলসহ একাধিক দেশের গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তন ও স্থান ভেদে একে স্বাভাবিক বলা হচ্ছে। ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় শীতকালেও ডেঙ্গু সংক্রমণের কারণ ও পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, মশার বেঁচে থাকার ক্ষমতা এবং ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি নির্ভর করে।


ব্রাজিলের গবেষণাগুলো বিশেষভাবে আর্বোভাইরাসগুলো (ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ও জিকা) নিয়ে পরিচালিত হয়েছে। সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও জনসংখ্যার ঘনত্ব ডেঙ্গু ও অন্যান্য আর্বোভাইরাসগুলোর বিস্তারে বড় ভূমিকা রাখছে। ২০১৫-২০২১ সালের সময়কাল ধরে পরিচালিত একটি গবেষণায় ৬ লাখ ২৬ হাজার ৪টি চিকনগুনিয়া এবং ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩১৭টি জিকা ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই গবেষণায় স্পেস-টাইম ক্লাস্টার ও সংক্রমণ প্রভাবিত করার বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়।


গবেষণায় দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমের উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা এই ভাইরাসগুলোর সংক্রমণ বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া ও জিকার সংক্রমণ একসঙ্গে ঘটার হারও উল্লেখযোগ্য, যা প্রধানত জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং নিম্ন সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ব্রাজিলে মৌসুমি আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। এতে করে শীতকালে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকছে, যা মশার প্রজনন চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট সহায়ক।


এডিস মশা দ্রুত পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম, ফলে শীতকালেও তাদের বংশবিস্তার এবং ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষমতা অব্যাহত থাকে।


এদিকে বাংলাদেশে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং জিকা ভাইরাস নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে কাজ করছে।


আইইডিসিআরের গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, এডিস মশার প্রজননের পদ্ধতিতে পরিবর্তন এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে শীতকালেও ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে। সাধারণত বর্ষার সময় এই রোগের প্রকোপ দেখা গেলেও এখন বৃষ্টি-পরবর্তী সময়ে এবং শীতকালেও এর সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মশার ক্রমবর্ধমান অভিযোজন এবং উষ্ণ আবহাওয়ার ধারা এই বিস্তারের প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।


স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী—এই বছর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৯৩ হাজার ৫৬ জন এবং মারা গেছে ৪৯৭ জন। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা ছিল গত বছর। গত চার বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল আগস্টে, ২০২১ সালে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে, আর ২০২২ সালে অক্টোবর ও নভেম্বরে। অর্থাৎ ধীরে ধীরে বছরের শেষদিকে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। আবার বছরের শেষভাগে বৃদ্ধির প্রবণতার কারণে পরবর্তী বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকেই ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। আর চলতি বছরের প্রথম ৬ মাস রোগী কম ছিল। জুলাই থেকে রোগী বাড়তে শুরু করে।



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাও ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গু হতে পারে।



বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে তখন ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়– এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও গত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।


স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, চলতি বছর (২০২৪) প্রাপ্ত রোগীদের মধ্যে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী সবচেয়ে বেশি। আর মৃতদের মধ্যে ২১-৫৫ বছর বয়সীর সংখ্যা বেশি। এখন পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৪৪ জন, ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৪৯ জন, ৩১ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৪১ জন, ৩৬ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৪০ জন, ৪১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৩৬ জন, ৪৬ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩৯ জন, ৫১ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৪২ জন এবং ৫৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৩৮ জন আছেন।


প্রতিবছর স্বাস্থ্য অধিদফতর ডেঙ্গু মশার বিস্তার নিয়ে বর্ষা মৌসুমের আগে এবং পরে দুবার জরিপ করে থাকে। এবার সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে সেটা করা হয়নি। তাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাতে মশার লার্ভা বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। তবে সর্বশেষ জরিপে বলা হয়েছিল—ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে আছে।


স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তারা প্রায় সবাই শেষ মুহূর্তে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এ কারণে শকে গিয়ে মারা যাচ্ছেন তারা। সোমবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর জানান, আমরা মৃত্যুর কারণ জানার জন্য ডেথ রিভিউ শুরু করছি। আমাদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দেরিতে হাসপাতালে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি। রোগীরা একেবারে শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসছেন। তখন সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না।



এ বিষয়ে অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই এক থেকে দুই দিনের মাঝে মারা যাচ্ছেন। একেবারে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আসছেন হাসপাতালে। রোগীরা প্রাথমিক অবস্থায় এলে এটি হতো না।’



জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণের তেমন কোনও কার্যক্রম ছিল না। অভিযান ছিল না। জলবায়ুজনিত কারণ তো আছেই। পাশাপাশি বৃষ্টি কমে তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে মশার ডিম পাড়ার পরিবেশ তৈরি হয়। বৃষ্টিপাতের পর দেড় থেকে দুই মাস ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। তাপমাত্রা কমলে হয়তো রোগী কমে যেতে পারে।’


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাসার মনে করেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পদক্ষেপ পর্যাপ্ত ছিল না।


তিনি বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা, তা নেওয়া হয়নি। ফলে মশা ও রোগী দুটোই বেড়েছে। রোগী বাড়ার কারণে মৃত্যুও হচ্ছে। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনেরও বিষয় আছে। আশা করি ডিসেম্বরে রোগী কমে আসবে।’



ডেঙ্গু থাকতে পারে আরও দুই মাস



শীতকালেও ডেঙ্গুর এমন সংক্রমণের কারণ জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘চলতি বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে মশা ডিম দিয়েছে। ওই ডিম পূর্ণবয়স্ক মশা হয়ে একজন ডেঙ্গু রোগীকে দংশন করে ভাইরাসটা পেটের মধ্যে নিয়ে সুস্থ লোককে কামড় দিচ্ছে। ভাইরাস বা মশার এই জীবনচক্র সম্পন্ন হতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগে। ফলে এই প্রকোপ স্বাভাবিক। এরপর পরিস্থিতি ঠিক হবে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করছি। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে থেকে বৃষ্টি শুরু হলে তা বাড়তে থাকবে।


ডেঙ্গুর এমন প্রকোপের জন্য নোংরা পরিবেশকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘আমরা অসচেতন তা বলা যাবে না। আমার মতে মানুষ খুবই সচেতন। তবে এর জন্য দায়ী আমাদের নোংরা পরিবেশ। ঘর এবং ঘরের বাইরে অপরিচ্ছন্ন অনুকূল পরিবেশ। এর জন্য অবশ্য আমরাই দায়ী। জলবায়ু সমস্যাও অবশ্যই আছে কিন্তু তা তো শুধু বাংলাদেশের জন্য না। সারা পৃথিবীর জন্যই। সব দেশে এত মূত্যু নেই, আমাদের এখানে কেন। একইসঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অতিমাত্রায় কেন্দ্রীভূতকরণ এই মৃত্যুর জন্য দায়ী।’


একসঙ্গে তিন রোগের সংক্রমণকে বড় সমস্যা মনে করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। যখন ডেঙ্গু কম থাকবে তখন চিকনগুনিয়া ও জিকার বাড়বে। একই মশা দ্বারা এগুলো সংক্রমিক হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ের পর একই মশা সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলে তারও এসব রোগ দেখা দেয়। চিকনগুনিয়াতে মানুষ মারা যায় না কিন্তু এটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক। জিকাতেও মৃত্যু হয় না। তবে পূর্ণবয়স্ক পুরুষদের স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা হয়। আর অন্তঃসত্ত্বা নারীরা আক্রান্ত হলে তাদের পেটের বাচ্চার মস্তিষ্ক ছোট হতে পারে।’


ডেঙ্গুর মধ্যেই চিকনগুনিয়া ও জিকার সংক্রমণের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রখ্যাত এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর যেহেতু ডেঙ্গুর সংক্রমণের হার কিছুটা কম তাই অন্যগুলো দেখা দিচ্ছে। আর এটা সামগ্রিক চিত্র না, এটা গবেষণা করতে গিয়ে দেখা গেছে। যেসব স্যাম্পলে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়নি সেগুলো নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। তখন কিছু লোকের চিকনগুনিয়া ও জিকা শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ একই সময়ে তিনটা রোগই আমাদের সমাজে আছে। এটি একটি বিষয়। আর এই তিনটাই মানুষের জন্য ক্ষতিকর।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com