বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ৭ বছর ধরে বেড়ে চলা মূল্যস্ফীতি হঠাৎ করেই কমানো যাবে না। অক্টোবরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়ালেও এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। মূলত আগস্ট-সেপ্টেম্বরের বন্যার কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

গভর্নর বলেন, গত সরকারের আমলে মূল্যস্ফীতি জোর করে কমিয়ে রাখা হতো। কিন্তু জুলাইয়ের পর থেকে এটা ফ্রি। যার কারণে সঠিক তথ্যই ওঠে আসছে।

তিনি বলেন, পণ্যের দাম কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরও সময় লাগবে। এটি স্থিতিশীল হতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে হবে।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কম আছে। ডলার রেট বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। সুতরাং মূল্যস্ফীতি কমতে বাধ্য। তবে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, প্রতিনিয়ত বাজারে মনিটরিং করা হচ্ছে। অযৌক্তিকভাবে কেউ কোনো কিছু করতে পারবে না। ফুটপাতে মানুষের হাঁটার জায়গা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করতে হবে।

এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে, গত অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। তবে নিম্নমুখী খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও।

উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এছাড়া অক্টোবরে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।

বিবার্তা/এনএইচ