নদী ও সাগরে মাছ শিকারের ক্ষেত্রে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে প্রতিবছর আশ্বিন মাসে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা মাঝে রেখে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় মৎস্য অধিদফতর। এই সময়ে ইলিশ ধরা, কেনাবেচা ও পরিবহন পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে যাচ্ছে। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীগুলোতে জারি থাকবে এ নিষেধাজ্ঞা।
বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে সামনে রেখে এই ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখার পাশাপাশি মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানও বাস্তবায়ন করা হবে।
বরিশালের মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, আশ্বিন মাসে ৮০ ভাগ ইলিশের পেটে ডিম আসে। শুধু মিঠাপানিতে ডিম ছাড়ার কারণে এ সময় ইলিশ সাগরের নোনাজল ছেড়ে নদীমুখী হয়। পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে নদীতে আসে ইলিশ। প্রজনন নিরাপদ করতে তাই প্রতিবছর এই সময়ে ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ বছর ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে। অন্য মাছ ধরার অজুহাতে ইলিশ আহরণ ঠেকাতে এই সময়ে জেলেরা নদী বা সমুদ্রে যেতে পারবেন না।
আইন অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে দায়ী ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
প্রতি বছর এই সময়ে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ছুটে আসে।
আগামী ২২ দিন চাঁদপুরের মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]