শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কাজ করছে: সচিব
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ১৫:০৬
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কাজ করছে: সচিব
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, এ নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ।


২৫ জুন, মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ প্রদান এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।


সচিব জানান, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে রাজধানীর সব প্রাথমিক স্কুল দৃষ্টিনন্দন ও উন্নত কাঠামোর হবে। কম শিক্ষার্থীসম্পন্ন প্রাথমিক স্কুলগুলোকে কাছাকাছি এলাকার বেশি শিক্ষার্থীসম্পন্ন স্কুলগুলোর সঙ্গে একীভূত করার কাজটি চলমান রয়েছে। এটা বাস্তবতা নির্ভর বলে গণহারে প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হচ্ছে না।


আগামী ২৭ জুন প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ প্রদান এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এর উদ্বোধন হবে উল্লেখ করে সচিব জানান, নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার তিন ক্ষেত্রে ১৮ ক্যাটাগরিতে ১২৬ জন পদক পাচ্ছেন।


শিক্ষার্থী কম থাকা বিদ্যালয়গুলোকে একীভূত করার বিষয়ে সচিব জানান, ১৫০টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০ থেকে ৫০ জনের মধ্যে আছে তবে পার্বত্য অঞ্চল, চরাঞ্চলসহ কিছু এলাকার বিদ্যালয় একীভূত করা হবে না।


ফরিদ আহাম্মদ জানান, প্রাথমিক স্কুলগুলোকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার সার্বিক সক্ষমতা অর্জনের পথে রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৫৪টি বিদ্যালয় এখনই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালুর মতো অবস্থায় রয়েছে।


সচিব বলেন, এটি আসলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়। এখানে নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের সিদ্ধান্তে আমরা ৬৯৫টি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি চালু করেছি। আমরা সাত শতাধিক চালু করেছিলাম। এক সময় সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার কারণে নতুন স্কুল অন্তর্ভুক্ত করিনি।


প্রাথমিক শিক্ষা সচিব জানান, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের সমন্বয় সভায় ধারাবাহিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত এবং শতভাগ অবৈতনিক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা হিসাব করে দেখেছি, ৬৫ হাজার ৫৬৬ স্কুলের মধ্যে পাঁচ হাজারের কাছাকাছি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করতে পারি। মাধ্যমিকে ২৩ হাজারের কাছাকাছি, নিম্ন মাধ্যমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। এসব স্কুল যদি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করতে পারে, তাহলে সরকারের এ সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।


সচিব জানান, আগামী তিন বছরে এক হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালুর অবকাঠামো রয়েছে, কিন্তু শিক্ষক নিয়োগসহ আরও বিভিন্ন বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।


প্রাথমিক স্কুলগুলোতে অষ্টম শ্রেণি চালু করা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে বলা আছে, প্রাথমিক শিক্ষা হবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এটি পর্যায়ক্রমে হবে।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com