রোদ বা গরমে কোনো পুলিশ সদস্য অসুস্থ হলে সেবা দেওয়ার জন্য পুলিশ হাসপাতাল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, চলমান তাপপ্রবাহে ডিএমপির পক্ষ থেকে ৫০টি থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে শ্রমজীবী, রিকশাচালক, নিম্ন আয়ের মানুষরা নিরাপদ পানি পান করতে পারেন।
তাপদাহের কারণে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ইউনিফর্ম পরিবর্তন করার কোনো চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো চিন্তা নেই। আমাদের যে পোশাক রয়েছে তার বাইরে গিয়ে বিকল্প পোশাক পরিধানের কোনো চিন্তাভাবনা আমাদের নেই। তবে যে কালো ছাতাটি থাকে সেটির বদলে সাদা ছাতা দেওয়ার জন্য নিয়ম রয়েছে। যেন গরম কম লাগে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কয়েকদিন ধরেই সারাদেশে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ চলছে। আমরা জানি যে, ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা সব সময় রাস্তায় থেকে কাজ করেন। রাস্তার ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচণ্ড রোদ বা বৃষ্টি সবকিছু উপেক্ষা করে তাদেরকে কাজ করতে হয়। এমনকি তারা বিশ্রামের সুযোগও পান না। আর চলমান তাপপ্রবাহের সময় তৃষ্ণা বা পিপাসার্থ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। এরবাইরে আমরা কিছু জায়গায় স্থায়ীভাবে পানির ট্রলি দিয়েছি। আর বেশ কয়েকটি জায়গার ভ্রাম্যমাণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, পুলিশ শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে জড়িত থাকে না বরং মানবিক কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। আমি মনে করি করোনাকালীন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবসেবা করে বাংলাদেশ পুলিশ সারা বিশ্বে একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো বজায় রয়েছে। আজকেও শ্রমজীবী মানুষের জন্য ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পানি বিতরণ করা হচ্ছে।
এ সময় ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি মো. ফারুক হোসেন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]