মালয়েশিয়ায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর শুরুতেই ভোগান্তি
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৪
মালয়েশিয়ায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর শুরুতেই ভোগান্তি
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মালয়েশিয়ায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর শুরুতেই ভোগান্তির শিকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দীর্ঘ টানাপোড়ন এবং সমস্যা যেন পিছুই ছাড়ছে না মালয়েশিয়া প্রবাসী অনিয়মিত কর্মীদের।


গত ১ মার্চ হতে মালয়েশিয়া সরকার অনিয়মিত কর্মীদের স্বল্প টাকা জরিমানা দিয়ে দেশে ফেরার সুযোগ দিলে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এরই মধ্যে অনেকে ফিরেছেন দেশে আবার অনেকেই ফেরার অপেক্ষায়।


তবে যত বিপত্তি বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত ট্রাভেল পাশ প্রদান নিয়ে। কারণ অনিয়মিত কর্মীদের (যাদের পাসপোর্ট নিজের কাছে নাই) দেশে ফেরার জন্য মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন হতে ট্রাভেল পাশ নিতে হয়। আর এই ট্রাভেল পাশ নিতেই নতুন করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিরা।


জানা যায়, প্রবাসীদের দ্রুত ট্রাভেল পারমিট সেবা প্রদানের লক্ষ্যেই গত কিছু দিন আগে উদ্বোধন করা হয় ওয়ান স্টপ সার্ভিস। কিন্তু প্রবাসীদের অভিযোগ, ওয়ান স্টপ সার্ভিসের পর সেবার মান এখন আরও কমেছে। প্রবাসীরা বলছেন, গত সপ্তাহ পর্যন্ত এক দিনে যেখানে শত শত ট্রাভেল পারমিট ডেলিভারি দিয়েছে, সেখানে চলতি সপ্তাহ থেকে ওয়ানস্টপ চালুর পর বর্তমানে সময় লাগছে দুই কার্য দিবস। এতে করে দূরদূরান্ত হতে আসা প্রবাসীরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে।


কথা হয় মালয়েশিয়ার জোহরবারু রাজ্য থেকে প্রায় সাড়ে ৩শ মাইল পথ জার্নি করে আসা শরিফুল ইসলামের সাথে। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি সারা রাত জার্নি করে কুয়ালালামপুরে এসেছি ট্রাভেল পারমিটের জন্য, ফাইল জমা নেওয়ার পর বলছে দুই কার্যদিবস সময় লাগবে এবং এসএমএস করে জানাবে ট্রাভেল পার্মিট রেডি হলে তখন আসতে হবে। এমতাবস্থায় এই দুই দিন কোথায় থাকবো, কি করব বুঝে উঠতে পারছি না। অথচ গত সপ্তাহে তারই পরিচিত একজন দিনের দিন এম্বাসিতে এসে সরাসরি নিয়ে গেছে ট্রাভেল পাশ।


শুধু শরিফুল ইসলাম নয়, ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর পর থেকেই একই অবস্থা ট্রাভেল পার্মিট নিতে আসা সকলের।


এদিকে, হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই ডেপুটি হাইকমিশনারের সিদ্ধান্তে থার্ডপার্টি এক্সপার্ট সার্ভিস এসডিএনবিএইচডিকে এই ওয়ান স্টপ সার্ভিসের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।


প্রবাসীদের প্রশ্ন পথে-ঘাটে যদি কোনো পুলিশি ঝামেলা হয় তাহলে এর দায়ভার কি থার্ডপার্টি নেবে? আবার অনেকেই বলছেন, One Stop সার্ভিস দিতে না পারলে এই এক্সপার্ট কোম্পানির দরকার কি। শুধু শুধু হয়রানি। On the spot ট্রাভেল পারমিট দিতে না পারলে বন্ধ করে দেওয়া হোক।


৫/৭ ঘণ্টা জার্নি করে দূর থেকে কুয়ালালামপুর এসে দিনে দিনে কাজ শেষ করে নিজ গন্তব্যে না ফিরতে পারলে কোথায় থাকবে এই লোক গুলো সেই প্রশ্নও অনেকের । এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে প্রত্যাশা প্রবাসীদের।


বিবার্তা/আরিফ/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com