রাতারাতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না: অর্থমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৪
রাতারাতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না: অর্থমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাতারাতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে কাজ চলছে। এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে, রাতারাতি তো হবে না। আল্টিমেটলি এই ক্রাইসিসটা তো ম্যানেজ করতে হবে।


২৫ ফেব্রুয়ারি, রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে মন্ত্রীর নিজ দফতরে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যানা বেজার্ডের সঙ্গে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।


অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে সমস্যাগুলো ফেস করছে এগুলো নতুন কোনো সমস্যা নয়। বাংলাদেশ এই সমস্যাগুলো যেভাবে মোকাবিলা করছে সেটার প্রশংসা করেছেন তারা। কাজেই এর মধ্যে সন্দেহের কিছু নাই।


তিনি বলেন, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চায় না, তাদের সঙ্গে তারা মিট করতে চায়, তাদের সঙ্গে তারা কথা বলতে চায়। আমি বলেছি, বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে পদ্মাসেতু তৈরি করেছে, জোড়াতালি দিয়ে করেছে, যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। জনগণের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা উঠবেন না, কারণ এটি ভেঙে পড়তে পারে। একজন নেত্রী যিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, এত বড় দল, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তিনি দাবি করেন, তার মুখ থেকে এ ধরনের কথা আমরা আশা করিনি। বিশেষ করে এটা তিনি বোঝেননি, এ ব্রিজ কীভাবে তৈরি হয়েছে।


তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যত মেগাপ্রজেক্ট করেছে, সবই শেখ হাসিনার সরকারের। ২০১৭ সালে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঠাকুরগাঁও গিয়েছিলাম। তার দুদিন আগে বিএনপি মহাসচিব তিনি একটা কমেন্ট করেছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো উন্নয়ন হয়েছে কি না, তিনি তো কিছু দেখেন না। আমি তখন সেখানে জনগণের উদ্দেশে বলেছিলাম, সেখানে লাখ লাখ লোক ছিল। আমি তখন বলেছিলাম, আপনাদের ছেলের (ছাওল) কিন্তু চোখ খারাপ হয়ে গেছে। আপনারা তাড়াতাড়ি ঢাকায় নিয়ে চোখের ডাক্তারকে দেখান। আর খুব দামি চশমা কিনে দেন যাতে সব পরিষ্কার দেখতে পান। উন্নয়ন হচ্ছে, আপনার যদি চশমাটা ঠিক থাকে তাহলে তো দেখতে পাবেন। আর চশমা যদি ঠিক না থাকে, তাহলে তো আমার কিছু করার নেই। ভালো ডাক্তার দিয়ে আপনার চোখটা পরীক্ষা করান এবং চশমা নিন। তাহলে সবই চোখে পরিষ্কার দেখতে পাবেন।


বৈঠকে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেল, এক্সপ্রেসওয়ে এসব মেগা প্রকল্পের বিষয়ে উপস্থাপন করলে তারা এপ্রিসিয়েট করেছেন বলে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কিছু দিন আগে মেট্রোরেল উদ্বোধন হলো। ওই অঞ্চলের (উত্তরা, মিরপুর) যারা থাকেন মানুষের যে কি উচ্ছাস, আনন্দ, উল্লাস! বিশেষ করে নারীরা মেট্রোরেলে উঠে স্ট্যান্ড ধরে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু তাদের চোখে মুখে প্রশান্তি এবং আনন্দ, এটি পরিষ্কার। কাজেই মেগাপ্রজেক্ট সম্পর্কে অনেক কথা বলেছে তারা বিরোধী দল বা বিএনপি। কিন্তু মানুষ কত উপকৃত হয়েছে এবং কত খুশি হয়েছে, তা আমি বললাম। মেগা প্রজেক্ট করব কি করব না। করলে কী হবে, শুধু ক্রিটিসিজম করলে তো কোনো লাভ হবে না। এগুলো শেখ হাসিনা বানিয়েছেন ঠিকই কথা। কিন্তু বানিয়েছেন তো একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, চিন্তা নিয়ে। বর্তমান এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, জনগণ তা গ্রহণ করেছে। জনগণ উৎসাহ দিয়েছে, এতো চমৎকার একটা প্রজেক্ট বাংলাদেশে এটা করা সম্ভব! এয়ারপোর্ট থেকে যে এক্সপ্রেসওয়ে, তারা উৎসাহ দিয়েছে। চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেলের কথাও আমরা তাদের বলেছি।


সমালোচকদের উদ্দেশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, শুধু ক্রিটিসিজম করলে তো কোনো লাভ হবে না। এগুলো শেখ হাসিনা বানিয়েছেন ঠিকই কথা। কিন্তু বানিয়েছেন তো একটা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, একটা চিন্তা নিয়ে। বর্তমান এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এবং জনগণ এটা গ্রহণ করেছে।


এসময় সরকারের উদ্যোগে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়ে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যানা বেজার্ড বলেন, গত দুই বছর যাবৎ বিশ্ব অর্থনীতি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেক দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জের বাইরে নয়।


বৈঠকে অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজারসহ সংস্থাটির ঢাকা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com