জাতীয়
গণমাধ্যম ছাড়া পুলিশের কাজের সুযোগ নেই: এটিইউ
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ১৬:৩০
গণমাধ্যম ছাড়া পুলিশের কাজের সুযোগ নেই: এটিইউ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

পুলিশ সাংবাদিক রিলেশনটা (সম্পর্ক) গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেছেন, পুলিশ কী চায়? পুলিশের পক্ষ থেকে দেখলে বলা যায়, গণমাধ্যম ছাড়া পুলিশের কাজের সুযোগ নেই। পুলিশ চায় পজিটিভ কাজগুলো গণমাধ্যমে উঠে আসুক।


১৯ জুন, সোমবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজের মাল্টিপারপাস হলে এক কর্মশালায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালাটি আয়োজন করে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট।


দিনব্যাপী এ কর্মশালায় এটিইউ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেন, বিভিন্ন অভিযান ও অনলাইন পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যও ভয়াবহ। আসলে জঙ্গিরা বসে নেই। আপাতত শান্তিতে আছি বলে জঙ্গিরা শেষ হয়ে গেছে এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই।


তিনি আরও বলেন, পুলিশের নতুন আইডিয়া, ধারণা নিয়ে আমরা কর্মশালা করি যাতে করে পুলিশের ইমেজ জনগণের সামনে সহায়ক হয়। আমরা জনসাধারণের নিরাপত্তা, সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করি। এই জায়গায় গণমাধ্যম ও পুলিশের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নাই। অপরাধ কমে যাক, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক সেটা সবার কাম্য।


এটিইউ প্রধান বলেন, পুলিশ সাংবাদিক সম্পর্ক আসলে নানা সময় জটিল আকার ধারণ করে। তবে বর্তমানে তথ্যের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৭ ধারায় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখার স্বার্থে তথ্য দিয়ে থাকি। দেশপ্রেমের জায়গা থেকে আমরা যদি সবাই কাজ করি তাহলে সমাজের জন্য ক্ষতিকর কিছু ঘটবে না। গণমাধ্যম যদি এসব মাথায় রাখে সংবাদ পরিবেশনের সময় তবে সমস্যা হবার কথা না। সংবাদের অবাধ প্রবাহের সময়ে কোনো সংগঠনের সুযোগ নেই গণমাধ্যমকে সহায়তা ছাড়া ইমেজ রক্ষা করার।


তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে দুটি ঘটে, একটা আমরা দিই, আরেকটা আপনারা সরেজমিনে করেন। এরকম একটি কাজ ছিল হলি আর্টিসানে হামলার সময়। গণমাধ্যমকর্মীদের কাজের কারণে থেকে জঙ্গিরা ভেতর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান জেনে গিয়েছিল। এসব ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।


স্বাগত বক্তব্যে এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশনস) মনিরুজ্জামান বলেন, জঙ্গিবাদ আমাদের দেশের অনেক বড় বাধা। সরকার বিধি-বিধান সংবিধানের আলোকে জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করছে। সহায়ক পরিবেশ তৈরি সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আলোকে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে। জনগণ আমাদের পাশে আছে, পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে তবে আমাদের যেতে অনেক দূর। এক্ষেত্রে আমাদের জন্য অনেক বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে গণমাধ্যম।


তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অনেক বেশি মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে। যেটা আড়ালে থাকার সেটা আড়ালেই রেখেছেন। আসলে রাষ্ট্রযন্ত্রের একার পক্ষে জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব নয়। এখানে দরকার কো-অর্ডিনেশন, জনগণের অংশগ্রহণ, গণমাধ্যমের নিরবচ্ছিন্ন সহায়ক ভূমিকা। আমাদের ডেটা সিস্টেমটা অনেক বেশি আপডেট থাকা দরকার। কারণ, উগ্রবাদে যারা জড়ায় তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা অনেক বেশি কঠিন।


এটিইউয়ের ডিআইজি (অ্যাডমিন) মফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক শবনম আজিম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ এফ এম মাসুম রাব্বানী।


বিবার্তা/রিয়াদ/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com