দিল্লিতে সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩, ২০:১৪
দিল্লিতে সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশেষ সাহিত্য সম্মাননায় ভূষিত করেছে ফেডারেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার (এফওএসডব্লিউএএল)। সংগঠনটির আঞ্চলিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে এ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।


ভারতের সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত পদ্মশ্রী ভূষিত ঔপন্যাসিক অজিত কৌরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সাহিত্য সম্মেলনে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা লেখক, চিন্তাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, গবেষক অংশ নেন।


অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও বিশিষ্ট গবেষক-লেখক মফিদুল হক। ২৬ মার্চ, রবিবার দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।


সার্ক সাহিত্য পুরস্কার হলো ২০০১ সাল থেকে ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার বার্ষিক পুরস্কার। বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই হলো- অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়াচীন।


বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবসের ঐতিহাসিক ক্ষণে এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদান করা হয়।


সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনের পুরস্কারের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে অজিত কৌর বলেন, বাংলাদেশের বিজয় কোনো সাধারণ ঘটনা ছিল না। এ ছিল এক অনন্য বিজয়, যা বাঙালি জাতির পিতা, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বঙ্গবন্ধুর আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ অনন্য সাহসিকতার পরিচয় বহন করে। তিনি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন সিংহের মতো। বস্তুত মানুষের জীবনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্বদেশের মর্যাদা রক্ষা করা। বঙ্গবন্ধুকে আজকের এ দিনে এ পুরস্কারে ভূষিত করতে পেরে আমরাও গর্বিত।


এফওএসডব্লিউএএল বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীর মুক্তিকামী নিপীড়িত মানুষের স্বাধীনতা আন্দোলনের মহান নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু, ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো নেতা পরাজিত শক্তির হাতে নিহত হলেও তার আদর্শ ও চেতনাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। তার লিখিত তিনটি বই— ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ প্রকাশের মাধ্যমে তাঁর জীবন সংগ্রামের নবদিক উন্মোচিত হয়। এ ত্রয়ী স্মৃতিগ্রন্থ তার রাজনৈতিক আদর্শ ও চেতনার প্রতিফলন। মানুষের প্রতি তাঁর পরম ভালোবাসা ও মমত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ। যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু একজন মানুষ, একজন নেতা হিসেবে একটি জাতিকে মুক্তির পথে ধাবিত করেন এবং বাঙালি ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন।


পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতি অজিত কৌর বলেন, দুনিয়াজুড়ে মানুষ যুদ্ধ পরিচালনা করেছে ভূমি ও অঞ্চলের জন্য অথবা রাজত্ব কিংবা একনায়কত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল আলাদা ও অনন্য। কেননা এই যুদ্ধ ‘মানুষের বুকে স্পন্দিত চেতনা’ রক্ষার জন্য, যা রূপায়িত ও বিকশিত হয় নিজ সংস্কৃতি ও নিজ ভাষার আশ্রয়ে। যার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মধ্যে নেই, তবে রেখে গেছেন তিন অমূল্য গ্রন্থ, যা প্রকাশিত হয়েছে। সেজন্য এফওএসডব্লিউএএল লিটারেচার ফেস্টিভালের সম্মানজনক পুরস্কারে তাকে ভূষিত করা হয়েছে।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com