১১ দিন পর আল্লাহপাক আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়েছে: বৃষ্টির বাবা
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:২০
১১ দিন পর আল্লাহপাক আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়েছে: বৃষ্টির বাবা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট থানায় পৌঁছানোর পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


১১ মার্চ, সোমবার বিকেল তিনটার দিকে বৃষ্টি খাতুনের বাবা সবুজ শেখের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে সিআইডি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


এদিন দুপুর পৌনে দুইটার দিকে বৃষ্টি খাতুনের বাবা সাহাবুল আলম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আসেন। বেলা ৩ টার দিকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মাতাবর বৃষ্টির বাবার কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।


এসময় বৃষ্টির বাবা বলেন, দীর্ঘ ১০ দিন অপেক্ষা করে আজ আমার মেয়েকে পেয়েছি। আল্লাহ পাকের কাছে শুকরিয়া আদায় করি, আমার বৃষ্টির জন‍্য দোয়া করবেন।


আমাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়। আমার বৃষ্টি মাকে গ্রামের পন্চায়েত কবরস্থানে দাফন করবো।


সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মাতাবর বলেন, বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনে বৃষ্টি নিহত হয়। বৃষ্টির মরদেহ
হিন্দু-মুসলিম দুই পক্ষই দাবি করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দাবি করে সে হিন্দু এবং তার নাম অভিশ্রুতি, এবং তার বাবা সাহাবুল দাবি করেন অভিশ্রুতি নামে পরিচিত নিহত মেয়েটিই তার মেয়ে বৃষ্টি।


এমন পরিস্থিতিতে পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএ’র সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে।


রবিবার (১০ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে তার ডিএনএ।


পরে রবিবার (১০) মার্চ রাতে রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা রমনা থানায় লিখিত দেন, ডিএনএ নমুনা এবং আদালতের রায় তিনি মেনে নিয়েছেন। এই লাশ মুসলিম মেয়ের। তার কোন দাবি নেই।


বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন।


বিবার্তা/বুলবুল/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com