বইমেলার ১৫তম দিনে নতুন বই এসেছে ৯৭টি
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৯
বইমেলার ১৫তম দিনে নতুন বই এসেছে ৯৭টি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

অমর একুশে বইমেলার ১৫তম দিনে আজ কবিতা গ্রন্থ ২৪টি, গল্প গ্রন্থ ১১টি, উপন্যাস ৮টি, প্রবন্ধ গ্রন্থ ১২টি, অনুবাদ গ্রন্থ ৪টি, ধর্মীয় গ্রন্থ ৩টি ও অন্যান্য ১৬টি গ্রন্থসহ নতুন বই এসেছে ৯৭টি।


১৫ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: আবদুল হালিম বয়াতি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।


সাইদুর রহমান বয়াতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জোবায়ের আবদুল্লাহ এবং আলোচনায় অংশ নেন মো. নিশানে হালিম।


প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের লোকসংগীত অঙ্গণে যেসকল সাধক-ব্যক্তিত্ব নতুন ধারায় প্রবর্তকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন মরমী সংগীতসাধক আবদুল হালিম বয়াতি তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য। সংগীত সৃষ্টি, সুরারোপ এবং পরিবেশনার মাধ্যমে তিনি এদেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় তার বিচরণ অতি সামান্য হলেও সংগীত সাধনায় তিনি ছিলেন নিরলস ও উদ্যোগী। প্রকৃতিদত্ত প্রতিভা এবং বৈচিত্র্যময় গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানালোকে তিনি নিজেকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনি অর্জিত অভিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞানকে গীত-গানের মাধ্যমে শৈল্পিক সাবলীলতায় উপস্থাপন করে অর্জন করেছেন গণনন্দিত শিল্পীর স্বীকৃতি।


আলোচক বলেন, বাংলাদেশের সংগীত জগতের কিংবদন্তি শিল্পী আবদুল হালিম বয়াতি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, কবি, লোকসংগীতের প্রবাদপুরুষ, বিচারগানের প্রবর্তক এবং মুক্তিযোদ্ধা। অপরিসীম মেধা ও প্রতিভার অধিকারী আবদুল হালিম শৈশবে পিতার কাছ থেকে মারফতি ও মুর্শিদি গানের পাঠ গ্রহণ করেন। ধুমকেতুর মতো বাংলা গানের ভুবনে আবির্ভূত হয়ে ধ্রুবতারার মতো স্থায়ী আসন করে নেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম ও সাধন-ভজনের মাধ্যমে তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। তার রচিত গানের মধ্যে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।


সভাপতির বক্তব্যে সাইদুর রহমান বয়াতি বলেন, আবদুল হালিম বয়াতির মতো প্রতিভাবান সাধককবি এদেশে বিরল। বাংলার লোকসংগীতের ইতিহাসে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তার সৃষ্টি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আবদুল হালিম ভক্তশ্রোতাদের অন্তরে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।


১৫ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক মাসুদুল হক, কবি ও সম্পাদক এজাজ ইউসুফী এবং গবেষক কাজী সামিও শীশ এবং শিশুসাহিত্যিক রুনা তাসমিনা।


সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু, মিহির মুসাকী, শফিক সেলিম, খোকন মাহমুদ এবং ইমরুল ইউসুফ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী এ বি এম রাশেদুল হাসান, শিরিন জাহান এবং তালুকদার মো. যোবায়ের আহম্মেদ টিপু। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন সুবর্ণা আফরিনের পরিচালনায় ‘কিংবদন্তি আবৃত্তি পরিষদ’ এবং মো. রহমতুল্লাহর পরিচালনায় ‘কথাশৈলী আবৃত্তি চক্র’। পুঁথিপাঠ করেন এথেন্স শাওন। এছাড়াও ছিল প্রণয় সাহার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বাবু সরকার, কোহিনুর আক্তার গোলাপী, মেহেরুন আশরাফ, অঞ্জলি চৌধুরী, গঞ্জের আলী জীবন, সুমন চন্দ্র দাস এবং বিজন কান্তি রায়। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন চন্দন দত্ত (তবলা), সুমন রেজা খান (কী-বোর্ড), মো. মনিরুজ্জামান (বাঁশি), সুমন কুমার শীল (দোতরা) এবং মো. স্বপন মিয়া (বাংলা ঢোল)।


এবারের অমর একুশে বইমেলায় ছায়া প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে কবি ও লেখক রুহুল গনি জ্যোতি এর ছোট গল্পের বই ‘ফেরা।’ লেখক মূলত একজন কবি। ‘ফেরা’ তার প্রথম গল্পগ্রন্থ, যাতে মোট ১১টি ভিন্নধর্মী ছোটগল্প স্থান পেয়েছে। গল্পগুলোর অধিকাংশ চরিত্রই দৈনন্দিন ঘটে যাওয়া নানা সাধারণ ঘটনাপ্রবাহ থেকে উঠে এসেছে।


লেখক এসব গল্পে সমসাময়িক সময়ের গ্রাম থেকে আসা মানুষের জীবনধারনের চিত্র তুলে এনেছেন। সেসব চরিত্র শহুরে জীবনের সঙ্গে খাপখাওয়াতে পারেনা। স্বচ্ছলতার স্বপ্ন বুকে নিয়ে শহরে আসা সেসব মানুষেরা শহুরে মানুষের স্বার্থপরতাসহ নানা ধরনের জটিলতায় খেই হারিয়ে ফেলে। ফিরতে চায় তার প্রিয় গ্রামে, কিন্তু সে আর ফিরতে পারে না। শহরের চক্রব্যূহে আটকে যায় তার জীবন। দেশের মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের চিকিৎসা করাতে গিয়ে যে দুর্ভোগে পরতে হয় তার চিত্রও তুলে এনেছেন তার গল্পে। বাদ যায়নি মহান মুক্তিযুদ্ধও। হানাদার নামের গল্পটিতে তিনি সেইসময়ের চিত্র যেমন তুলে এনেছেন তেমনি নোভা নামক গল্পে উঠে এসেছে একজন অটিস্টিক শিশু ও তার পিতামাতার নিত্যদিনকার দিন যাপন পদ্ধতির গল্পও। বাংলাদেশের নদ-নদী, খাল-বিল যেভাবে দখল হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে তার চিত্রও উঠে এসেছে ‘নদী আমাদের মা’ নামের গল্পটিতে। এই বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা।


অমর একুশে বইমেলার ১৬তম দিন শুক্রবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি)। মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর।


শুক্রবার সকাল ১০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অমর একুশে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।


বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন হারিসুল হক।


আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ফজিলাতুন নেছা মালিক এবং এস এম মোস্তফা জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com