শিরোনাম
বিবার্তা-জাগরণ আনন্দ ভ্রমণ
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৩০
বিবার্তা-জাগরণ আনন্দ ভ্রমণ
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

কাজের ব্যস্ততায় আমাদের সবার-ই ছিল ক্লান্তি,
তাই দরকার ছিল একটু শান্তি।


নিজেরা বলাবলি করলাম,দরকার
একটা আয়োজন,
যেটা আমাদের একান্ত প্রয়োজন!


কয়েকদিন পর হঠাৎই শুনি, অফিস নিয়েছে এটার ভার
শুক্রবার আমাদের ঘুরতে নিয়েছে অফিসের-ই কার।


স্থান ছিল শ্রীনগর, যেটা পদ্মাসেতুর কাছে,
আসলে এখানে দেখার মতো অনেক কিছু আছে!


গ্রাম-বাংলার অপরুপ চিত্র এটা,
আমরা আসলেই চেয়েছিলাম যেটা।


এদিন সকালে আমরা উঠলাম গাড়িতে,
যেতে হবে শ্রীনগরের সেই বাড়িতে।
গাড়িতে আদনান ভাই লাগালো গান,
কিন্তু এ গানে কেউ পাচ্ছিলো না ফান!
আতিক ভাই বললো, এই ছেলে কেন লাগিয়েছে বিরহের গান?
খলিল ভাই বললো, এমবি দিচ্ছি রাখো তোমার মান!


ভাই, তাকে এমবি কিনে দিলো,
আদনান ভাইও নতুন গান নিলো।
এভাবে আমাদের যাত্রা হলো শুরু,
বিপ্লব ভাই বললো, একজনই তার গুরু।
ভাইয়ের ছেলে তুষারও ছিল তার পাশে,
তার কথা শুনে সবাই একটু হাসে।


শ্রীনগর পৌঁছে শুরু হয়েছে ক্রিকেট খেলা,
দুপুর পর্যন্ত খেলায় কেটেছে বেলা।


শুরুতে বলের আঘাতে হলো কোচ গমেজ দাদার ইনজুরি,
তবুও তিনি বললেন, তোমরা বল মারো ইস্টাম ঘুরি।
ব্যথায় কাতরিয়ে বললেন,পাওয়া যাবে না ভয়,
হবে, হবেই আমাদের জয়।


খেলা হলো বিবার্তা ও জাগরণের মাঝে,
মাঠেও সবাই দাঁড়িয়েছিল খেলোয়াড় সাজে।


শুরুতে টসে বিবার্তার হাসি আপুর কাছে জাগরণের হার,
পরেও কেউ নিতে পারেনি এ দলের ভার।
হওয়া দুই ম্যাচে তারা হেরেছে,
বিবার্তায় আসল কাজটাই পেরেছে।


খেলায় এফ এম শাহীন ভাই মাঠে গেল পড়ে,
এভাবে তার দল জাগরণও গেল ঝরে!
ঊর্মি আপু ছিল ভাইয়ের দলে,
এ কথা বিবার্তার রাসেল বলে!


জাগরণের কেউ আউট হলে রুপম ভাই "নো" বল বলে ডাকে,
তার চিল্লাচিল্লিতে সবাই মেতেছে খেলার ফাঁকে!


রোমেল ভাই মাথায় পড়েছে ক্যাপ,
কিন্তু পূরণ করতে পারেনি জাগরণ টিমের গ্যাপ!


জাগরণের খেলা দেখে হাসি আপু বলে এরাই খেলে টেস্ট,
আমার বিবার্তা টিমটাই বেস্ট।


জাগরণের রকি ভাই যেন হয়ে গেল টাউট,
এ লোক মানলো না তার আউট!


আদনান ভাই ব্যাট পাঠালো মাঠের বাইরে,
তার জাম্প দেখে কোথায় আমরা যায়রে!


এদিন উইকেট নিয়ে হয়ে গেছে বীর,
এ ভাইয়ের নাম জ-হির।
আতিক ভাইকে বললেন, আমাকে বল দিতেন আগে,
দেখেন, জাগরণ আমার বল দেখে কিভাবে ভাগে?


ইমরান ভাই মেরেছে কিছু চার,
নিয়েছে দলের কিছু ভার।


মাহিন ভাই ক্যামেরা নিয়ে ঘুরে,
কেউ কেউ বলে ভাই আপনি কেন এতো দূরে,
সে বলে, ছবি তুললে দিতে হবে টাকা,
সে নাকি ঘুরবে পুরো ঢাকা!


আতিক ভাই যেভাবে ব্যাটে বলে করেছে শুরু,
এই লোক তো ক্রিকেটের-ই গুরু।


নিজ বলে ক্যাচ ধরে আশিক ভাই উপরে বল মারে,
আম গাছে আটকানো এ বল কে পারে?


বাবর ভাই বললো, বাড়ি আমার রাজশাহী,
দেখো, কিভাবে আমি গাছ বাহী?


এ ভাই গাছ থেকে নামালো বল,
বললো, জিতবে আমাদেরই দল।
জাগরণকে আমরা পায়নি ভয়,
হয়েছে বিবার্তার দাপুটে জয়।


খেলায় আম্পায়ার ছিল জুয়েল ভাই,
সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে সবায় তার কাছে যায়,
সে বরাবরই দিয়েছিল সব রায়!


আর ফরিদ ভাই তো মাঝেমধ্যে দেয় ভেলকি,
আর তুলে নিজের ফোনে সেলফি।


পরে শুরু হলো পাতিল ভাঙার খেলা,
সেথায় বসেছিল আনন্দের মেলা।
এই আয়োজনে সবাই হলো জিরো,
কিন্তু বিবার্তার হাসি আপু হলো হিরো।
পারবো না এ নীতি করে বাতিল,
তিনি একমাত্র ভেঙে দিলেন পাতিল!


পরে হয়েছে খাবারের আয়োজন,
সবাই মিটিয়েছে নিজেদের প্রয়োজন।


এরপর আমরা গেলাম এক জমিদার বাড়ি,
এ যেন পুরোই রসের হাড়ি।
এ বাড়ির রয়েছে নিত্যনতুন সাজ,
জানি না, কারা করেছে এসব কাজ?
বাড়ির দৃশ্যে ভরে গেল আমাদের মন,
হয়তো বাড়িওয়ালার আছে অনেক ধন।


এখান থেকে আমরা গেলাম ভাগ্যকূলে,
মাঝেমধ্যে রাস্তা যাচ্ছিলাম ভুলে।
এরপর হলো নৌকা বাইচ,
এটাও ছিল খুব নাইচ।


নৌকায় উঠে খেয়ে হাওয়া,
আমরা চলে গেলাম মাওয়া।
দেখলাম পদ্মাসেতু,
এরপর ফিরলাম, চড়ে গাড়ি,
চলে আসলাম হল-বাড়ি।


মোটকথা, এদিন আনন্দ উচ্ছ্বাসে কেটেছে আমাদের বেলা,
নানা আয়োজনে হয়েছেও হরেক রকমের খেলা।


আমাদের অফিস ট্যুরের গল্প,
লিখে ফেললাম অল্প।


বিদায় বেলায় আমি রাসেল যাচ্ছি বলে,
যদিও এ দিনটার হয়ে গেছে ইতি,
অমলিন থাকুক আমাদের এইদিনের স্মৃতি।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com